দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ চিনিকলে বকেয়া বেতনের দাবিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। চিনিকলের এমডি আহসান হাবিব জানান, বকেয়া পরিশোধের জন্য সদর দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে এই বিক্ষোভ করেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।
চিনিকলের সিডিএ তোফাজ্জাল হোসেন তোফা জানান, ‘ছয় মাস থেকে বেতন-ভাতা নেই। কী যে দুঃসহ জীবন যাপন করছি তা বোঝাতে পারব না। শুধু আমি নই, সকল শ্রমিক-কর্মচারীই তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে মাথা নিচু করে জীবন যাপন করছেন। কেননা তাদের পরিবারের মুখে দুবেলা অন্ন তুলে দেবার সামর্থ্য নেই। এটি সত্যিই পিতা কিংবা স্বামী হিসেবে পরিবারের কাছে লজ্জাজনক। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের বকেয়া পাওনা দাবি করছি।’
কয়েকজন শ্রমিক জানান, চিনিকলের আখমাড়াই বন্ধ হয়েছে। কিন্তু তাদের চাকরি থাকবে কি না, তাদের বেতন-ভাতা হবে কি না, এ বিষয়গুলো কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে না।
একসময়ের জৌলুশ হারিয়ে সেতাবগঞ্জ চিনিকল এখন মুখ থুবরে পড়ে আছে। চিনিকলের এমডি আহসান হাবিব জানান, চিনিকলে সব মিলিয়ে দেনার পরিমাণ ৫৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
চিনিকল সূত্রে জানা যায়, এর মধ্যে ছয় মাসে জমেছে বকেয়া বেতনের ৮ কোটি ১০ লাখ ৩৫ হাজার, মজুরি কমিশনে বকেয়া বিল ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা, পিএফ বাবদ দেনা ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার, গ্রাচ্যুইটি বিল ১১ কোটি ৫৪ লাখ ৫৭ হাজার, ভ্যাট ও আয়কর ৬৫ লাখ ৭৭ হাজার, জামানত বাবদ ১ কোটি ৫৪ লাখ ও সরবরাহকারী বিল বকেয়া ৫ কোটি ৩৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
এমডি বলেন, সদর দপ্তরে এসব দেনা মেটানোর বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে। সেখান থেকে বরাদ্দ এলে সব বকেয়া পরিশোধ করা হবে।