গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। চিকিৎসকরা জানান, মারধরের শিশুটির কোমরের হাড় ভেঙে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই অভিযোগে হওয়া মামলার বিষয়টি নিউজবাংলাকে সোমবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) বুলবুল ইসলাম।
তিনি জানান, রোববার রাতে শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হয়। পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘ওই যুবককে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ছাড়া শিশুটিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানান, শুক্রবার দুপুরে বাড়ির উঠানে বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল শিশুটি। এ সময় প্রতিবেশী ওই যুবক তাকে পাকা আমের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ওই যুবক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
এ সময় মেয়েটি চিৎকার করলে তার কোমরে লাথি দেয় ওই যুবক। এতে শিশুটির কোমরের হাড় ভেঙে যায়। সে সময় পালিয়ে যায় ওই যুবক।
শিশুটি বাড়ি ফিরে মাকে ঘটনা জানালে পরিবারের লোকজন ওই যুবকের বাড়ি গিয়ে প্রতিবাদ জানায়। পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবকের স্বজনরা তাদের ভিটে ছাড়ার হুমকি দেয়।
ওসি আরও জানান, হুমকির ভয়ে শুক্রবার শিশুটিকে হাসপাতালে নিতে পারেনি পরিবার। পরদিন গোপনে তাকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রোববার রাতে তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিশুটির মা বলেন, ‘আমার বাচ্চা মেয়েক এমন নির্যাতন করিল; সহ্য করতি পারচি না। এটা মানি নেয়ার মতন নয়। আমি এর বিচার চাই।’
জেলা হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘শিশুটি কোমরে আঘাত পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তার কোমরের একটি হাড় ভেঙে গেছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
‘শিশুটিকে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি হাসপাতালের ওসিসি বিভাগ থেকেও সাহায্য করা হবে। যাতে করে সে সঠিক ন্যায়বিচার পায়।’
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, ‘মামলার পর থেকে আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে।’