চুয়াডাঙ্গা সদরের একটি নার্সিং হোমে ‘বিক্রি’ করা নবজাতককে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে যে দম্পতি নবজাতককে নিয়েছেন, তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় দত্তক নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সদর হাসপাতাল রোডের উপশম নার্সিং হোমে শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। শিশুটিকে রোববার রাতে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান নিউজবাংলাকে জানান, দামুড়হুদার দলকা লক্ষ্মীপুর গ্রামের সুমাইয়া খাতুন শনিবার ওই নার্সিং হোমে সন্তান প্রসব করেন। ওই দিনই নবজাতককে দামুড়হুদার এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেয়া হয় বলে গুঞ্জন ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম তা তদন্তের নির্দেশ দেন।
তদন্তে রোববার সন্ধ্যায় ওই নার্সিং হোমে গিয়ে সুমাইয়ার সঙ্গে কথা বলে সদর থানার পুলিশ।
ওসি জানান, সুমাইয়া খাতুনের শয্যাপাশে ছিলেন ববিতা খাতুন নামের এক নারী। তিনি বলেন, সুমাইয়া তার এলাকার পরিচিত। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ও দরিদ্র। স্বামী তার দেখাশোনা করেন না। এ কারণে নবজাতককে নিঃসন্তান এক দম্পতির হাতে তুলে দেয়া হয়। সেটি টাকার বিনিময়ে করা হয়নি বলে দাবি ববিতার।
ওসি জানান, ববিতা আরও দাবি করেছেন যে ওই দম্পতি সুমাইয়ার চিকিৎসার খরচ বহন করেছে। ববিতার দেয়া তথ্যে পরে ওই দম্পতিকে খুঁজে বের করা হয়। তাদের কাছ থেকে নবজাতককে নিয়ে এসে সুমাইয়ার কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
ওসি ফকরুল বলেন, ‘উভয় পক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। আসলে তারা যে কাজটি করেছেন, সেটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। শিশু অধিকারও লঙ্ঘন করা হয়েছে। তারা যদি শিশুটিকে নিতে চান তাহলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিতে হবে।’
এ বিষয়ে জানতে নার্সিং হোমের মালিক জিন্নাতুল আরার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।