হেফাজতের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন প্রায় আড়াই মাস পর খুলে দেয়া হচ্ছে মঙ্গলবার। আন্ত:নগর পারাবত এক্সপ্রেস বুধবার থেকে স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে।
রেলওয়ের ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশান শাখার উপপরিচালক (অপারেশন) রেজাউল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, আপাতত 'ডি ক্লাস' মর্যাদার দিয়ে স্টেশনের কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন 'বি ক্লাস' মার্যাদায় কার্যক্রম চলতো। তবে সংস্কার কাজ ও সিগনালিং ব্যবস্থা পুনরায় স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত 'ডি ক্লাস' থাকবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন।
রেলওয়ের চিঠিতে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার থেকে সুরমা মেইল, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেসসহ চারটি মেইল, তিতাস কমিউটার ও কর্ণফুলী কমিউটারসহ দুটি কমিউটার ট্রেন চালু হবে। বুধবার থেকে ঢাকা-সিলেট রুটের আন্ত:নগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন যাত্রাবিরতি করবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের মাস্টার শোয়েব আহমেদ বলেন, ‘স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি শুরু হবে বলে শুনেছি। তবে দাপ্তরিকভাবে চিঠি এখনও পাইনি।’
তিনি জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে মাদরাসাছাত্ররা রেলস্টেশনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। গত ২৬ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারসহ সাতটি কক্ষে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন তারা। তারা রেললাইনের পাশে স্তূপ করে রাখা কাঠের স্লিপার লাইনের ওপর এনে আগুন ধরিয়ে দেন।
স্টেশন মাস্টার শোয়েব জানান, ২৭ মার্চ থেকে স্টেশনে সব ধরনের ট্রেনের যাত্রাবিরতি স্থগিত রয়েছে। স্টেশনের সিগনালিং ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্টেশনটির সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ রাখে।