বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ননদের বাড়িতে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ, হত্যার অভিযোগ

  •    
  • ১৩ জুন, ২০২১ ১৯:২৭

দীপার ভাই সুমন চৌধুরী বলেন, ‘সাইফুলের সঙ্গে দীপার বিয়ে হয় কোর্টে। কিছুদিন পর শুরু হয় পারিবারিক দ্বন্দ্ব। সাইফুল পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। তার পরকীয়া নিয়ে কয়েকবার বৈঠকও হয়েছে। আমার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে স্বামীর বড় বোনের (ননদ) বাড়ির রান্নাঘরের আড়া থেকে দীপা চৌধুরী নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও দীপার ভাই বলছেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়েছে পুলিশ।

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ্ আলম নিউজবাংলাকে জানান, ভোরে গোবিন্দপুরের মঈনুল ইসলামের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। ২৮ বছর বয়সী দীপা মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বিক্রমকলস গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি একই উপজেলার পতনউষা গ্রামের আব্দুল মতিন চৌধুরীর মেয়ে।

এসআই শাহ্ আলম বলেন, দীপার আগে একটি বিয়ে হয়েছিল, সেই সংসারে অপু নামের ১৪ বছরের একটি ছেলে আছে। দীপা চৌধুরী বেশ কিছুদিন লন্ডনে ছিলেন। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সাইফুলের সঙ্গে বিয়ে হয় তার।দীপার ভাই সুমন চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাইফুলের সঙ্গে দীপার বিয়ে হয় কোর্টে। কিছুদিন পর শুরু হয় পারিবারিক দ্বন্দ্ব। সাইফুল পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। সাইফুলের পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে কয়েকবার বৈঠকও হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নিজ বাড়িতে সমস্যা হওয়ায় কয়েক দিন ধরে সাইফুল দীপাকে নিয়ে তার বড় বোনের বাড়িতে থাকছিলেন। সেখানে তারা দীপার ওপর নির্যাতন চালাতেন। আমার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

সুমন জানান, সাইফুল লোকজন নিয়ে কয়েক দিন ধরে পরিকল্পনা করতেন বলে দীপা বিভিন্ন সময়ে তাকে জানিয়েছেন।

সাইফুলের বোন সেফি বেগম নিউজবাংলাকে জানান, সাইফুল রমজান মাসের কয়েক দিন আগে থেকে দীপাকে নিয়ে তার বাড়িতে বাস করছেন। দীপা তার পাশে ঘুমাতেন, ভোরে উঠে তার মরদেহ দেখতে পান।শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাসুক আলী পুলিশ ফাঁড়িকে জানালে তারা মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এসআই শাহ আলম জানান, লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। প্রতিবেদন এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শমশেরনগর ফাঁড়ির ওসি (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে দেখা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর