বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ

  •    
  • ১৩ জুন, ২০২১ ১৭:০৭

শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ্ আলম জানান, রোববার ভোরে শমশেরনগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা মঈনুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাসুক আলী পুলিশ ফাড়িঁতে খবর দিলে দুপুরে তারা মরদেহ উদ্ধার করে।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের গোবিন্দপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুর ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ওই নারীর স্বামীর পরিবার বলছে, রান্না ঘরের আড়ার সঙ্গে উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে মৃত নারীর ভাইয়ের দাবি, হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামী।

মৃত নারীর নাম দীপা চৌধুরী। ২৮ বছরের দীপা মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বিক্রমকলস গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী।

শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ্ আলম নিউজবাংলাকে জানান, রোববার ভোরে শমশেরনগর গোবিন্দপুরের বাসিন্দা মঈনুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাসুক আলী পুলিশ ফাড়িঁতে খবর দিলে দুপুরে তারা মরদেহ উদ্ধার করে।

সাইফুল ইসলামের বোন সেফি বেগম নিউজবাংলাকে জানান, রমজানের কয়েকদিন আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পর, দীপাকে নিয়ে তার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন সাইফুল। এ বাড়িতে দীপা তার সঙ্গে ঘুমাত। সকালে রান্না ঘরে তার মরদেহ দেখতে পান।

দীপার ভাই সুমন চৌধুরী নিউজবাংলাকে জানান, এটি দীপার দ্বিতীয় বিয়ে। আগের সংসারে অপু নামে ১৪ বছরের ছেলে আছে তার। সাইফুল ইসলামের সঙ্গে তার বোনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে গত মার্চে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়।

‘দীপার স্বামী সাইফুল পরকিয়ায় জড়িত। এ নিয়ে বাড়িতে তাদের মধ্যে কলহ দেখা দিলে সাইফুল দীপাকে নিয়ে তার বোনের বাড়িতে এনে রাখত। সেখানে দীপার ওপর নির্যাতন চালানো হত। কদিন আগেই দীপার ৫-৬ লাখ টাকার স্বর্ণ বিক্রি করে দেয় সাইফুল। আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম নিউজবাংলাকে জানান, সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন আসার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শমসেরনগর পুলিশ তদন্ত ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর