নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ইটপাটকেল ছুড়ে চার পুলিশ সদস্যকে আহত করার ঘটনায় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ১৬৩ অনুসারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার রোববার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার রাতে উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন মামলাটি করেন।
আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে নিরপরাধ কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়েও সতর্ক থাকা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের (একাংশ) ১৬৩ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। তারা বসুরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে জানানো হয়, শনিবার সকালে বাদলের ওপর হামলার অভিযোগ তুলেন তার অনুসারীরা। উপজেলার চর কাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারের বসুরহাট পেশকার সড়কে ব্যারিকেট দিয়ে তারা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।
এ সময় জনর্দুভোগ এড়াতে পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দিতে চাইলে তারা উল্টো পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ জনকে আসামি করে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলায় মেয়র আব্দুল কাদের মির্জাকে দায়ী করে দুপুরে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগ (একাংশ)। দুপুর ১টার দিকে হরতালের সমর্থনে বাদলের কর্মী সমর্থক ও অনুসারীরা টেকের বাজারে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন।
এ সময় পুলিশ তাদেরকে বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বাদলের অনুসারী চার নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন পুলিশের চার সদস্য।