কক্সবাজার টেকনাফে নাফ নদীর তীর থেকে আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে হয়েছে।
হ্নীলা ইউনিয়নের নাফ নদীসংলগ্ন ফুলের ডেইল চর থেকে রোববার বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) হাফিজুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকালে চরে মেয়েশিশুটির মরদেহটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহেদ হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার এই শিশুটিও রোহিঙ্গা। তার বয়স আনুমানিক পাঁচ বছর।
পুলিশের ধারণা, স্বামী-স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ একটি পরিবার ক্যাম্প থেকে গোপনে নৌকায় করে মিয়ানমারে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পথের মাঝে নৌকাটি ডুবে যায়। হয়তো নিখোঁজ রয়েছে পরিবারের পুরুষটি।
রোববার সকাল পর্যন্ত ওই তিনটি মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা ছিল। তাদের খোঁজে কেউ পুলিশ বা হাসপাতালে যোগাযোগ করেনি।
এর আগে শনিবার এক নারী ও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয় নাফ নদীর তীর থেকে। তারা হলো কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা জানে আলমের স্ত্রী সমসেদা ও তাদের দুই সন্তান।
টেকনাফের হারাংখালীর নাফ নদীর তীর থেকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান আলী রাশেদ জানিয়েছিলেন, শিশুসহ সবাই রোহিঙ্গা। নারীর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। দুই শিশু মধ্যে একজনের ছয় বছর; অন্যজনের চার বছর হতে পারে।
তার ভাষ্য, নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রায়ই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। তা ছাড়া সরকারের সিদ্ধান্তে ২০১৭ সালের পর থেকে নাফ নদীতে টেকনাফের স্থানীয় জেলেদের মাছ ধরাও বন্ধ। নদীতে মাছ ধরার নৌকাও নেই। তাহলে নাফ নদীতে নৌকাডুবিতে কেমনে প্রাণ হারিয়েছেন তা জানা নেই।