বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্রমিক বিক্ষোভে কাঁদানে গ্যাস, ছত্রভঙ্গ শ্রমিকের মৃত্যু

  •    
  • ১৩ জুন, ২০২১ ১১:৫১

নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে রোববার সকাল পৌনে ৭টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন লেনি ফ্যাশন নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার প্রায় ৩০০ শ্রমিক। ওই সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে।

সাভারে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসে ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়াতে গিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কায় নারী পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান।

মৃত শ্রমিকের নাম জেসমিন আক্তার। তিনি ইপিজেডের গোল্ড টেক্স কারখানার সুইং অপারেটর ছিলেন।

এসপি জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান জেসমিন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

হাবিব হাসপাতাল নামের স্থানীয় একটি হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মো. বিল্লু নিউজবাংলাকে জানান, বিক্ষোভের পর এক নারী শ্রমিককে অসুস্থ অবস্থায় সেখানে আনা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

এরপর শিল্প পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান তার মৃত্যুর বিষয়টি নিউজবাংলাকে জানান।

এসপি বলেন, ‘আন্দোলনের সময় আমরা যখন ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছিলাম, আমাদের তখন করার কিছুই ছিল না। ওই শ্রমিক তখন দৌড়ে পালাতে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি খেয়াল না করায় বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে লেগে তিনি মাথায় আঘাত পান। পরে তিনি মারা যান বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই শ্রমিক লেনি ফ্যাশনে চাকরি করতেন না। তবে সকালে আন্দোলনের সময় ওই কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে তিনি যোগ দিয়েছিলেন।’

এর আগে, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে রোববার সকাল পৌনে ৭টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন লেনি ফ্যাশন নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার প্রায় ৩০০ শ্রমিক। ওই সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে।

শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, সকালে লেনি ফ্যাশনের কয়েক শ শ্রমিক বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে নতুন ইপিজেডের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় ব্যস্ততম এই সড়কটিতে যানচলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকদের সড়ক ছেড়ে দেয়ার জন্য বোঝালেও তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে জলকামান নিক্ষেপ করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

তিনি বলেন, ‘সকালে ঘটনাস্থলে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য ছিল। আমরা শ্রমিকদের সড়ক থেকে বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়ার অনেকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা শোনেননি। তার পরে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাস্তা ক্লিয়ার করা হয়েছে।

‘হালকা কাঁদানে গ্যাস ও পানি ছিটিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়া হয়। তারা বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করলেও তেমন কিছু হয়নি। অল্প সময় শুধু সড়কে যানচলাচল বিঘ্নিত হয়েছে।’

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘লেনি ফ্যাশন কারখানার মালিক একজন ভারতীয়। অনেক দিন আগে থেকেই করোনার কারণে মালিক ফ্যাক্টরিতে আসেন না। ওই মালিকের দুটি কারখানায় প্রায় ৬০০ শ্রমিক কাজ করেন।

‘চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারখানা দুটি বন্ধ। জানুয়ারি মাসের বেতনও তারা পাননি। তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও আটকে আছে। এখন করণীয় কিছু নাই। ফ্যাক্টরি বিক্রি করতে হবে। এই মুহূর্তে সেই প্রচেষ্টাও চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর