দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্যসহায়তা বিরতণ না করে মজুতের অভিযোগে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লাকে কারণ দর্শনের নোটিশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি)। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস।
রোববারের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (সার্বিক) মো. মনিরুজ্জামানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বায়স্তবায়ন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, সিংগাইর উপজেলার দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের মধ্যে জরুরি খাদ্যসহায়তা বিরতণের জন্য ৩ মে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। যা জরুরি সেবা ৩৩৩ নম্বরে কল পেলে যাচাইবাছাই করে দ্রুত খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ ছিল।
সেই লক্ষ্যে দুস্থদের খাদ্যসহায়তা দিতে বরাদ্দ এক লাখ টাকা দিয়ে ১০০ প্যাকেট প্রস্তুত করেন ইউএনও রুনা লায়লা। প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি চিনি ও ২ প্যাকেট সেমাই। প্রতিটি প্যাকেটে রাখা হয়েছে এক হাজার টাকা মূল্যের পণ্য।
জরুরি সেবা ৩৩৩ নম্বরে কল পেয়ে কিছু প্যাকেট বিরতণ করা হলেও প্রায় অর্ধেক প্যাকেট জমা করে রাখা হয় ইউএনওর বাসভবনের সামনে। সেখানে গ্যারেজের পাশে একটি কক্ষে খাদ্যসামগ্রী রাখা হলে গরমের কারণে প্যাকেট করা আলু ও পেঁয়াজে পচন ধরে।
মঙ্গলবার গ্যারেজের পাশের কক্ষ থেকে পচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা প্রশাসনের লোকজন সেখানে পৌঁছান। পরে তারা পচে যাওয়া খাদ্যসামগ্রী প্যাকেটের ভেতর থেকে বের করে আলাদা করেন।
এ বিষয়ে ইউএনও রুনা লায়লা জানান, আলু ও পেঁয়াজ এবং খাদ্যসহায়তার বিষয়ে জানতে চেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তাকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি আসবে।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস জানান, ত্রাণের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মনিরুজ্জামানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।