বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন আকমল হত্যার আসামিরা’

  •    
  • ১২ জুন, ২০২১ ২১:২৯

আকমলের স্ত্রী লেকজান বলেন, ‘পুলিশকে আসামিদের দেখিয়ে দেয়ার পরেও তারা ধরেনি। মামলা করায় আমাকে চেয়ারম্যান লিটু শরীফের ভাই বোর্ড অফিসে নিয়ে তোর ছেলেকেও দেখে রাখিস বলে হুমকি দেন।’

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কৃষক আকমল শেখ হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আকমলের স্ত্রী-পুত্রের অভিযোগ, মামলা করায় দফায় দফায় তাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে শনিবার মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী।

বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাবুরবাজারে মানববন্ধনে করেন পোয়াইল গ্রামের মানুষ। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

কর্মসূচিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসমত শেখ বলেন, ‘আকমল হত্যা মামলার প্রধান আসামি চতুল ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামান জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এ পর্যন্ত গ্রামের কমপক্ষে দশ জনকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। তাদেরকে শিগগির গ্রেপ্তার করতে হবে।’

আকমল শেখের স্বজনেরা জানান, ১৭ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কাঙালি ভোজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আকমল শেখকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার ছেলে ইব্রাহিম শেখ ইউপি চেয়ারম্যান লিটুকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

হত্যার তিনমাসেও কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। মামলাটি এখন ফরিদপুরের সিআইডি পুলিশ তদন্ত করছে।

মানববন্ধনে ফরিদা জামান নামের এক নারী বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান লিটুর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। তবু তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। আকমল হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছি।’

আকমলের স্ত্রী লেকজান বলেন, ‘পুলিশকে আসামিদের দেখিয়ে দেয়ার পরেও তারা ধরেনি। মামলা করায় আমাকে চেয়ারম্যান লিটু শরীফের ভাই বোর্ড অফিসে নিয়ে তোর ছেলেকেও (ইব্রাহিম) দেখে রাখিস বলে হুমকি দেন।’

ইব্রাহিম শেখ বলেন, ‘মামলা করার পর চেয়ারম্যান নিজে আমাদের হুমকি দিচ্ছেন। তারা আমাদের পরনের কাপড়ও রাখবে না বলে শাসাচ্ছেন।’

আকমল হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদপুরের সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক আক্তারুজ্জামান মিনা। তিনি মামলার তদন্ত ও আসামিদের গ্রেপ্তারে অবহেলার অভিযোগ সঠিক সঠিক নয় বলে দাবি করেন।

তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতেও পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছে। এ পর্যন্ত মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্য নিয়েছি। আসামিদের গ্রেপ্তারের পর চার্জশিট দাখিল হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর