চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে মাইক্রোবাসের চাপায় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সালাহ উদ্দিন নিহতের ঘটনায় দুটি মামলা করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন মামলা দুটি করেন।
মামলার বিষয়টি নিউজবাংলাকে রাতে নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে এসআই আমির হোসেন একটি হত্যা ও আরেকটি মাদক মামলা করেন। দুই মামলাতেই অজ্ঞাতপরিচপয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।
এর আগে শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় একটি মাইক্রোর চাপায় নিহত হন এএসআই সালাহ উদ্দিন। আহত হন মো. মাসুম নামের এক কনস্টেবল। পুলিশ জানায়, মাইক্রোবাসটি ছিল মাদকবাহী।
চান্দগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজুর জানান, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পার্বত্য এলাকা থেকে চোলাই মদবাহী একটি কালো মাইক্রোবাস চট্টগ্রাম শহরের দিকে আসছে বলে জানতে পারেন এসআই সালাহ উদ্দিন।
এতে কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার মেহেরাজখানঘাটা পেট্রোল পাম্পের সামনে কালো মাইক্রোবাসকে থামার সংকেত দিলে গাড়িটি গতি কমিয়ে আনে।
এ সময় গাড়িটি থেমেছে ভেবে এএসআই সালাহ উদ্দিন ও চালক মাসুম মাইক্রোবাসটির কাছে গেলে গাড়িটি গতি বাড়িয়ে দুইজনকে চাপা দেয়। আহত দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সালাহ উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, বিষয়টি জানতে পেরে ওই মোবাইল টিমের অফিসার এসআই রফিকুল ইসলাম ফোর্সসহ গাড়িটিকে তাড়া করেন।
নগরীর এক কিলোমিটার এলাকায় গাড়িটি থামিয়ে গাড়ির চালকসহ অন্যরা পালিয়ে যান৷ পরে পুলিশ গাড়িটি জব্দ করে। ওই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৭০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়।