নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রতিবেশী মতিউর রহমানের স্ত্রী আছমা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান রাশিদুল ইসলাম। সেই সম্পর্কের ভিত্তিতে ৩১ মে আছমাকে নিয়ে এলাকা ছাড়েন রাশিদুল।
রাশিদুলের এই কাজের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে তার ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শাহিনুর বেগমকে। স্ত্রীকে নিয়ে পালানোর প্রতিশোধ নিতে শাহিনুরকে গলা ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করেন আছমার স্বামী মতিউর।
গত ৩ জুন গভীর রাতে উপজেলার ভবানীপুর কারিগরিপাড়ার শাহিনুর হত্যার কারণ হিসেবে এসব তথ্য দেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের।
শুক্রবার বেলা ১১টায় নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, শাহিনুর হত্যার পরদিন তার ভাই নূর আলী বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ নিহত শাহিনুরের স্বামী রাশিদুল ইসলাম ও প্রতিবেশী মতিউর রহমানের স্ত্রী আছমা খাতুনের পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পারে।
পরে রাশিদুলকে পাবনা থেকে এবং আছমাকে গাজীপুর থেকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে মতিউরকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যার পরে মতিউর খুব স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিলেন। এ কারণে তার দিকে এলাকাবাসী ও পুলিশের সন্দেহের দৃষ্টি ছিল না।
তবে গ্রেপ্তারের পর মতিউর হত্যার দায় স্বীকার করেন। তিনি জানান, নিজের স্ত্রীর সঙ্গে রাশিদুলের পরকীয়া সম্পর্কের প্রতিশোধ নিতে তিনি শাহিনুরকে ঘাস কাটার হাঁসুয়া দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে পরে দুই পায়ের রগ কেটে দেন।
তার দেয়া তথ্যে বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাঁসুয়াটি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার মতিউরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আলমসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।