সড়কের কোথাও নেই বিটুমিনের আস্তর। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির সময় গর্তে গিয়ে আটকা পড়ছে ছোট-বড় যানবাহন। এ ছাড়া কাদা ও বালুর সংমিশ্রণ জমে পিচের রাস্তা রূপ নিয়েছে কাঁচা সড়কে। গত আট বছরেও সংস্কার না হওয়ায় এমন বেহাল অবস্থা হয়েছে খুলনা নগরীর গোয়ালখালীর শেখ আবু নাসের হাসপাতাল বাইপাস লিংক রোড।
খুলনা নগরীর গোয়ালখালীর বাস্তুহারা এলাকা থেকে সিটি বাইপাস পর্যন্ত ২ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে শেখ আবু নাসের হাসপাতাল, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর সদর দপ্তর, নৌবাহিনীর ঘাঁটি (বানৌজা তিতুমীর), বিএনএন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, এ্যাংকরেজ স্কুল, নৌবাহিনী ভর্তি কেন্দ্র, নাবিক কলোনি, পুলিশ লাইন, মুজগুন্নী শিশুপার্ক, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রায়েলমহল (অনার্স) কলেজ, নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ সরকারি ও বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান।
এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নগরীর বাইরে সহজ যাতায়াতের জন্য একমাত্র পথ শেখ আবু নাসের হাসপাতাল বাইপাস লিংক রোড। এ ছাড়া খালিশপুর, দৌলতপুরসহ নগরীর পশ্চিম পাশের লোকজন নগরীতে প্রবেশ না করেই ওই সড়ক ব্যবহার করে শহরের বাইরে যেতে পারেন। কিন্তু নির্মাণের পর সড়কটি সংস্কারে আর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
কেডিএ সূত্রে জানা যায়, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে সড়কটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এরপর ২০০৮-০৯ অর্থবছরে নির্মাণকাজ শেষ হয়।
ওই সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক আগেই বিটুমিন উঠে যাওয়ায় সড়কে কাদা-বালু জমে কাঁচা রাস্তার মতো হয়ে গেছে। রাস্তায় সৃষ্টি হওয়া গর্তে বৃষ্টির সময় জমে যায় পানি, আটকে পড়ে গাড়ি। জনসাধারণকে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হাই বলেন, ‘সংস্কারের অভাবে সড়কটি একদম চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে সড়ক দিয়ে যেতে গেলে আটকা পড়ে গাড়ি। কোনোভাবেই যানবাহন বা পথচারী নির্বিঘ্ন চলাচল করতে পারছে না।’
গাড়িচালক সবুজ গাজী জানান, বর্ষা মৌসুমে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় গর্তে চাকা আটকে যায়। অনেক সময় গাড়ি উল্টেও পড়ে। গাড়ির অনেক যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী মোর্তুজা আল মামুন বলেন, ‘২০০৯ সালে কাজ শেষ হওয়ার পর খুলনা সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের কাছে সড়কটি বুঝিয়ে নিতে চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু তারা সড়কটির সংস্কারে উদ্যোগ নেয়নি। সে জন্য মে মাসের শেষের দিকে ফের চিঠি দেয়া হয়েছে। এবার আশা করা হচ্ছে সংস্কার হয়ে যাবে।’
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী এজাজ মোর্শেদ কোনো মন্তব্য করেননি।