বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বজ্রপাতে সিরাজগঞ্জে সাত দিনে ২০ জনের মৃত্যু

  •    
  • ১১ জুন, ২০২১ ১০:০৬

চলছে বজ্রপাতের ভরা মৌসুম। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও থেকে বজ্রপাতে প্রাণহানির খবর আসছে। এ তালিকায় সিরাজগঞ্জের নামটা আসছে ঘুরেফিরে।

সিরাজগঞ্জে বজ্রপাত এখন এক আতঙ্কের নাম। গত সাত দিনের ব্যবধানে জেলাটিতে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্কুলছাত্র, কৃষকসহ প্রাণ গেছে অন্তত ২০ জনের। আহত হয়েছেন আরও ৯ জন।

জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কমিটির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। বৈশ্বিক আবহাওয়ার পরিবর্তন ও গাছপালা কমে আসায় প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চলছে বজ্রপাতের ভরা মৌসুম। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও থেকে বজ্রপাতে প্রাণহানির খবর আসছে। এ তালিকায় সিরাজগঞ্জের নামটা আসছে ঘুরেফিরে।

সরকারি হিসাবে, চলতি বছরে সিরাজগঞ্জ জেলায় বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা ৩৭, যা গত বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহে বজ্রপাতে প্রাণ গেছে ২০ জনের।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ নিউজবাংলাকে জানান, এপ্রিল ও জুন মাসে বজ্রপাত বেশি হয়। বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞদের দিকনির্দেশনাগুলো মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

এসব দিকনির্দেশনার মধ্যে রয়েছে

# বজ্রপাতের সময় নিরাপদ স্থানে অবস্থান করা

# আকাশে মেঘ দেখা গেলে ঘরে অবস্থান করা, জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় না থাকা, দ্রুত দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নেয়া

# বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকা

# ঘন-কালো মেঘ দেখা গেলে রাবারের জুতা পরে বাইরে বের হওয়া

# উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, তার, ধাতব খুঁটি ও মোবাইল টাওয়ার থেকে দূরে থাকা

# বজ্রপাতের সময় জরুরি প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করা, খোলা জায়গা, মাঠ বা উঁচু স্থানে না থাকা

# কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা, জলাশয় থেকে দূরে থাকা, বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠে থাকলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়া

# বজ্রপাতের সময় মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করা

সিরাজগঞ্জ ফায়ার সাভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এরই মধ্যে বজ্রপাতরোধে জনসাধারণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক ২০টি দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা প্রতিটি অঞ্চলে এই সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেছি এবং মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং সহ নানাভাবে প্রচারণা করছি। প্রতিটি মানুষকে সচেতন হবে এই দুর্যোগ থেকে বাঁচতে।’

জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুর রহিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকার বজ্রপাতকে দুর্যোগ ঘোষণা করায় আহত ও নিহতদের পরিবারকে অর্থনৈতিক সহায়তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমরা প্রতিটি নিহত পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ দিয়ে থাকি। আসলে মানুষ সচেতন না হলে কখনই এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব না।’

এ বিভাগের আরো খবর