বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই ওসির মেয়ে এখন সুখে

  •    
  • ১০ জুন, ২০২১ ২৩:১০

প্রেম করে বিয়ে করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবার রোষানলে পড়েছিলেন সামিয়া প্রেমা। নিউজবাংলা এ নিয়ে সংবাদ প্রচারের পর বাবা-মেয়ের সম্পর্কের বরফ গলেছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় সামিয়া প্রেমা ও আলামিন রাজীবের প্রেম। গোপনে সেরে ফেলেন বিয়েও। তবে পরবর্তীতে তাদের সম্পর্কের কথা জেনে বেঁকে বসেন প্রেমার বাবা পুলিশ কর্মকর্তা মীর শাহীন শাহ পারভেজ।

এক সময় ঢাকা জেলা ডিবি পুলিশে কর্মরত ওসি পদবীর এই দাপুটে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তোলেন তার মেয়ে প্রেমা। ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর হামলা, একাধিক মিথ্যা মামলা, তার নিজের ওপর নির্যাতনের অভিযোগও করেন তিনি বাবার বিরুদ্ধে।

রাজীব ও প্রেমা যুগলের যন্ত্রণাময় জীবনকাহিনী তুলে ধরে নিউজবাংলা। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর প্রায় দুই মাস পর মন গলে ওসি শাহিন পারভেজের। মেয়ে ও তার জামাতাকে মেনে নেন তিনি। মাঝে মধ্যে প্রেমা-রাজীব ‍যুগলের সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার প্রতিবেদকের। তারা বেশ আনন্দেই সুখের সংসার করছেন বলে জানান। ইতোমধ্যে কক্সবাজারে মধুচন্দ্রিমাও সেরে নিয়েছেন এই জুটি। এ জন্য নিউজবাংলাকে ধন্যবাদ দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই যুগল।

প্রেমা এখন সাভারে আশুলিয়ার গকুলনগর এলাকায় স্বামী আলামিন রাজীবের সাথে তার শ্বশুরবাড়িতেই থাকছেন।

সামিয়া প্রেমা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আছি এখন ভালোই। মাঝে মধ্যে আব্বুর সাথে কথা হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কোনো সমস্যা নাই। অনেক কিছুই তো হইছে। অনেক ঝামেলাও ছিল। এখন আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আর কোনো সমস্যা হবে না আশা করি।’

ধামরাই ও মোহাম্মদপুর থানার মামলার বিষয়ে বলেন, ‘ওইটা ঠিক হয়ে গেছে। ধামরাই থানার মামলায় ফাইনাল রিপোর্টটা দিয়ে দিছে। এসআইয়ের সঙ্গে কথা হইছিল, উনি বলছিল দিয়ে দিছে। একটা লিখিত দিয়ে দিছে। মামলা রাখবে না ওই লিখিত দিয়েছিল। আর মামলা উঠায় নেওয়ার কথা বাবা বলছে।

‘মোহাম্মদপুরের মামলাটাও ঠিক হইছে। মামলা থেকে নামটা কেটে দেয়ার কথা বলেছিল। আমার পরিবারের লোকজন যখন এসেছিল, তখন তারা মামলা তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই আমাকে বাড়িতে নিয়ে গেছিল। আব্বু বলেছিল, কোনো সমস্যা নাই। দুই-একবার হাজিরার সময় কোর্টে যাইতে হবে।’

আলামিন রাজীব বলেন, ‘প্রথমের দিকে ওদের পরিবারের সবার সাথে কথা হইত না। তবে এখন হয়। মানুষটা অনেক রাগী হলেও মনটা অনেক ভালো। আমরা দুইজন আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। যেখানে মন চায় ঘুরি। দোয়া করবেন। তবে এখনো জব পাইনি। চেষ্টা করতেছি। খুশির খবর হলো, আল্লাহর রহমতে আমি বাবা হতে চলেছি। আর মামলার ঝামেলাগুলোও সব শেষ হয়ে গেছে। এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না ভাই।’

রাজীবের চাচাতো ভাই আসিফ মাহমুদ জানান, ‘মধ্যস্থতার মাধ্যমে ওনারা যাইতে বলে আমাদেরকে। যাদের যাদের নামে মামলা, তাদের সবাইকে যাইতে বলে। পরে রাজীব, প্রেমা, দাদা, আমি গেছিলাম। পরে মধ্যস্থতাকারী, ওর চাচা, মামা, মা ছিল ওনারা ছিলেন। ওরা পরে ২০ লাখ টাকা কাবিননামা করে বিয়ে পড়ায় দিছে। বিয়ে পড়ানোর পরে ওসি সাহেব বলেন, তোমরা স্বাধীনভাবে থাকো। কোনো অসুবিধা নাই। পরে দুই পরিবারের একে অপরের বাসায় গেছে মিষ্টি নিয়া। আর মামলার বিষয়টাও সমঝোতার মাধ্যমে ক্লোজড করা হইছে বলে জানতে পারছি।’

মীর শাহীন শাহ পারভেজ ঢাকা জেলা উত্তর (সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই থানা) এর ডিবি পুলিশের ওসি হিসেবে দায়িত্বপালন শেষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেন। পরে সেখান থেকে ক্লোজড হয়ে বর্তমানে তিনি মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইনে কর্মরত।

এ বিভাগের আরো খবর