পাবনায় বিদ্যুতের লাইনে কাজ করতে গিয়ে বাচ্চু মিয়া ও শাকিল আহমেদ নামের দুই লাইনম্যানের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে পাবনা পৌর এলাকা এবং ঈশ্বরদী ইপিজেডে এসব ঘটনা ঘটে।
বিদ্যুৎকর্মী বাচ্চু মিয়া পাবনা সদরের গাছপাড়ার মহল্লার এসকেন্দার আলী মোল্লার ছেলে। তিনি নর্দার্ন ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের পাবনা ইউনিটের লাইনম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শাকিল ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের চরগরগড়ি গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।
পাবনা পৌর এলাকার দিলালপুর মহল্লার আব্দুল জলিল জানান, দিলালপুরের ইউনিভার্সাল অফিসের সামনে বাচ্চু বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কাজ করছিলের। এ সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। বাচ্চু ওই কম্পানিতে ৭ বছর ধরে লাইনম্যানের কাজ করছিলেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ না করে এবং কোন ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করতে গিয়ে বাচ্চু মারা গেছেন। এ ধরণের ঘটনা এর আগেও শহরে ঘটেছে। এ জন্য নর্দান কোম্পানির দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে।
এ দিকে ঈশ্বরদী ইপিজেডের সংরক্ষতি রুমে বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে শাকিল গুরুতর আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানায় স্থানীয় লোকজন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঈশ্বরদী ইপিজেডের কোন কর্মকর্তার সঙ্গে তার কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাচ্চু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।
এদিকে নর্দার্ন ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী মাজেদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বার বার তার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নেসকোর সহকারী প্রকৌশলী রুবেল হাওলাদার বলেন, ‘ছেলেটি আমাদের অফিসের বাহিরের কোন ঠিকাদারের সঙ্গে কাজ করে থাকতে পারে। এর বেশি আর কিছু জানি না। তবে ছেলেটি বৈদ্যুতিক লাইনে কাজ করতে গিয়ে মারা গেছেন এমন ঘটনা শুনেছি।’