বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ডুমুরিয়া টহল ফাঁড়িসংলগ্ন বলেশ্বর নদী থেকে হরিণের মাংসসহ বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে বনরক্ষীরা।
হরিণ শিকার করে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে বলেশ্বর নদী দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বৃহস্পতিবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন, ৪৮ বছয় বয়সী বাবা হানিফ মিস্ত্রি ও তার ২৮ বছরের ছেলে মাসুম মিস্ত্রি। তাদের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার খেতাচিরা গ্রামে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১২ কেজি হরিণের মাংস, হরিণের চারটি পা, দড়ির ফাঁদ, একটি নৌকা, ৫০ ফুট ছান্দি জাল, একটি দা, একটি চাপাতি ও একটি কুড়াল জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটিও জব্দ করা হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন জানান, হরিণের মাংস পাচারের সংবাদ পেয়ে বগী স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাদিক মাহামুদ ও ডুমুরিয়া টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে বনরক্ষীদের তিনটি দল ভোররাত থেকে বলেশ্বর নদীতে অবস্থান নেয়।
সকাল ৬টার দিকে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার সুন্দরবন থেকে বের হলে তা থামিয়ে তল্লাশি করে হরিণের মাংস, শিকারের সরঞ্জাম, বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়। আটক করা হয় শিকারি দলের দুই সদস্যকে। এ সময় বনের মধ্যে থাকা আরও ৪-৫ জন শিকারি একটি ডিঙি নৌকায় করে পালিয়ে যান।
এসিএফ জয়নাল আবেদীন আরও জানান, আটক দুই শিকারি, জব্দ করা ট্রলার, মাংস ও সরঞ্জামাদি বেলা ৩টার দিকে শরণখোলা রেঞ্জ অফিসে আনা হয়। পরে আটকদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। জব্দ হরিণের মাংস রেঞ্জ অফিস চত্বরে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।