কিশোর-কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক। মেনে নেয়নি পরিবার। মনের কষ্টের কথা সহপাঠীদের জানায় প্রেমিক জুটি। তখন তাদের আত্মহননে প্ররোচনা দেয়া হয়।
বিষও এনে দেয় এক সহপাঠী। কিন্তু সেই বিষ একাই পান করে ফেলে প্রেমিকা। হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মরদেহ রেখে পালানোর সময় প্রেমিকসহ তিনজনকে দেয়া হয় পুলিশে।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নে মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটেছে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গৌরনদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান।
তিনি বলেন, আটককৃতদের বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের যশোর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, বুধবার রাতে এ ঘটনায় মামলা করেন স্কুলছাত্রীর মা।
মামলায় বলা হয়, ওই ইউনিয়নের নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে একই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়েটির পরিবার বিষয়টি ছেলের পরিবারকে জানিয়ে বিচার দাবি করে।
পরিবারের পক্ষ থেকে এই সম্পর্ক মেনে নেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়। ওই কিশোর-কিশোরী বিষয়টি তাদের কয়েকজন সহপাঠীকে জানায়। সবাই মিলে তাদের পরামর্শ দেয়, প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নিলে বিষ খেয়ে মরে যেতে।
মঙ্গলবার সকালে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে প্রেমিক জুটি স্কুলের পাশে বসে ওই সহপাঠীদের উপস্থিতিতে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয়। এক সহপাঠীর আনা বোতল ভরা বিষ একাই পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে স্কুলছাত্রী।
প্রেমিকসহ অপর দুই সহপাঠী মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। মরদেহ রেখে পালনোর সময় তাদের পুলিশে দেন হাসপাতালের কর্মীরা।