গাজীপুরের টঙ্গীতে এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসামি ৭০ বছর বয়সী সাইজ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. হাসিবুল আলম। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে আসামিকে আদালতে তোলা হয়।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসিবুল গণমাধ্যমকে জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সাইজ উদ্দিনকে ভোরে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি জানান, গত ১৬ মে টঙ্গীতে স্বপ্না আক্তার নামের এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ করেন তার বড় মেয়ে তুলি। টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় সেদিন সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই সাইজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তুলি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাউজ উদ্দিন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি।
টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সজল জানান, ৩৪ বছর বয়সী স্বপ্না আক্তার দুই মেয়ে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি মেসে রান্নার কাজ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি খুলনা সদর উপজেলায়।
আসামি সাইজ উদ্দিন একটি রিকশা গ্যারেজে রিকশা মেরামতের কাজ করতেন।
স্বপ্নার বড় মেয়ে তুলি জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী সাইজ উদ্দিন তার মাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় এপ্রিল মাসের মাঝামাঝিতে ২০ থেকে ৩০ জন লোক নিয়ে এসে তিনি তার মাকে হুমকি দেন। এ ঘটনার ৪ থেকে ৫ দিন আগে সাইজ উদ্দিন ঘরে ঢুকে তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করেন। ১৫ মে রাতেও দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
তুলি আরও জানান, ১৬ মে সকালে তিনি তার মায়ের ঘরে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।