বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুস্থরা প্রতীক্ষায়, ত্রাণ পচেছে প্যাকেটে

  •    
  • ১০ জুন, ২০২১ ১৩:৫৬

জরুরি সেবা ৩৩৩ নম্বরের কলের মাধ্যমে খাদ্যসহায়তা দেয়ার জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। বরাদ্দকৃত টাকায় ১০০টি খাবারের প্যাকেট করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লা। তার প্রায় অর্ধেক বিতরণ করা হয়নি। জমা থাকা প্যাকেটের আলু ও পেঁয়াজ পচে গেছে।

দুস্থরা সহায়তা পাচ্ছে না এমন অভিযোগের মাঝেই মানিকগঞ্জের সিংগাইরে মজুত করা ত্রাণে ধরেছে পচন। প্রায় এক মাস ফেলে রাখার পর এখন পচা আলু ও পেঁয়াজ বদলে নেয়া হচ্ছে সহায়তা বিতরণের নয়া উদ্যোগ।

করোনা পরিস্থিতিতে জরুরি সেবার ৩৩৩ নম্বরে যোগাযোগ করলে দরিদ্র ও দুস্থদের মধ্যে খাদ্যসহায়তার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ সেবার মাধ্যমে খাদ্যসহায়তা পেয়েছেন অনেকে। তবে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় অনেক দুস্থ সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। অথচ সেখানেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হেফাজতে পচে নষ্ট হয়েছে দরিদ্র ও দুস্থদের খাদ্যসামগ্রী।

উপজেলা প্রকল্প বায়স্তবায়ন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, সিংগাইর উপজেলার দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের মধ্যে জরুরি খাদ্যসহায়তা বিতরণের জন্য গত ৩ মে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। জরুরি সেবা ৩৩৩ নম্বরে কল পেলে যাচাইয়ের পর দ্রুত খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার নির্দেশনা ছিল।

দুস্থদের খাদ্যসহায়তা দিতে বরাদ্দকৃত ১ লাখ টাকা দিয়ে ১০০টি প্যাকেট প্রস্তুত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লা। প্যাকেটে রয়েছে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি চিনি ও ২ প্যাকেট সেমাই। প্রতিটি প্যাকেটে ১ হাজার টাকা মূল্যের পণ্য রয়েছে বলে জানা যায়।

কিছু প্যাকেট দ্রুত বিতরণ করা হলেও প্রায় অর্ধেক জমা রাখা হয় ইউএনওর বাসভবনের সামনে। সেখানে গ্যারেজের পাশে একটি কক্ষে খাদ্যসামগ্রী রাখা হলেও পর্যাপ্ত আলো বাতাস ছিল না। এ অবস্থায় গরমে প্যাকেটে থাকা আলু ও পেঁয়াজে পচন ধরেছে।

গ্যারেজের পাশের কক্ষ থেকে মঙ্গলবার পচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা প্রশাসনের লোকজন সেখানে পৌঁছেন। তারা পচে যাওয়া খাদ্যসামগ্রীগুলো প্যাকেট থেকে আলাদা করেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও খাদ্যসামগ্রী ক্রয় কমিটির সদস্যসচিব আবু নাসের জানান, সহায়তার জন্য তার তত্ত্বাবধানেই খাদ্যদ্রব্য কেনা হয়। এই খাদ্যসহায়তা জরুরি সেবা নম্বরে যারা ফোন করবে, তাদেরই দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। তবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকায় খোঁজ নিয়ে দরিদ্রদের মধ্যে প্যাকেটগুলো দিয়ে দেয়া যায়।

তিনি আরও জানান, খাদ্যসহায়তার জন্য যেসব প্যাকেট করা হয়েছে, তার প্রতিটি প্যাকেটের খাদ্যদ্রব্য ৪-৫ জন সদস্যের একটি পরিবার প্রায় ১০ দিন খেতে পারবে।

ঘটনার বিষয়ে সিংগাইরের ইউএনও রুনা লায়লা বলেন, ‘জরুরি সেবা নম্বরে কল করে সহায়তা চাওয়ায় এ পর্যন্ত ৫৭টি পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেয়া হয়েছে। বাকি খাদ্যদ্রব্যগুলোও দেয়া হবে। তবে গত কয়েক দিনের গরমের কারণে প্যাকেট করা খাদ্যের মধ্যে কিছু আলু ও পেঁয়াজ পচে গেছে। সেগুলো ফেলে দিয়ে নতুন করে আলু-পেঁয়াজ কেনা হবে। এরপর বাকি ৪৩টি প্যাকেট বিতরণ করা হবে।’

সহায়তার খাবার পচে যাচ্ছে এমন সংবাদে ক্ষুব্ধ ধল্লা ইউনিয়নের বাস্তা এলাকার চাঁন মিয়া বলেন, ‘ঈদের আগে করোনার লিগা ঠিকমতো কাজ করা প্রিনাই (পারিনি)। অভাবে কোনমতে দিন কাটছে। পরে মাইনষের মুখে শুনছি ৩৩৩ নম্বরে ফোন কইরা খাবার পাওয়া যায়। পরে ফোনও দিছিলেম। কথাও কইছিলেম, কিন্তু কিছু পাই নাই। সরকারের ওই খাবার পাইলে কয়টা দিন খাইতে পারতাম।’

এ বিভাগের আরো খবর