দিনাজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি আব্দুল হকের ফাঁসি ১৯ বছর পর কার্যকর হয়েছে।
জেলা কারাগারে বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাকে দণ্ড দেয়া হয়েছে বলে জানান জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আব্দুল হকের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভক্তিপুর চৌধুরীপাড়া এলাকায়। ২০০২ সালের ২৮ আগস্ট থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
কারাগারসূত্রে জানা যায়, রংপুরের মিঠাপুকুরে ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্ত্রীকে হত্যা করেন আব্দুল হক। পরদিন আব্দুল হকের শাশুড়ি মিঠাপুকুর থানায় তার নামে মামলা করেন। প্রায় ৫ বছর পর ২০০৭ সালের ৩ মে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে মামলার রায় হয়। তাতে আব্দুল হককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
আব্দুল হকের পরিবার হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলেও তাতে সাজা বহাল থাকে। সবশেষ আব্দুল হক রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেন। গত বছরের ১৮ মে সেই আবেদনও নাকচ হয়। এরপর আসামির ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন জানান, ফাঁসির দিন ঠিক হওয়ার পর বুধবার বিকেলে পরিবারের সদস্যরা আব্দুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর মধ্যরাতে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।
এ সময় রংপুর ডিআইজি (প্রিজন) আলতাফ হোসেন, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, দিনাজপুর সিভিল সার্জন আব্দুল কুদ্দুছ, চিকিৎসকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জেলা কারাগারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।