নওগাঁর মান্দায় গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুনে পাঁচটি বসতবাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের বারিল্যা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হঠাৎ করেই গ্রামের আনিসুর রহমানের বাড়ির রান্নাঘরে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই সেখান থেকে আগুন পুরো বাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবেশী বিপ্লব হোসেন, বিদ্যুৎ হোসেন, জেহের আলী ও মকবুল হোসেনের বাড়িতে।
গ্রামবাসী ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা পর মান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা আসে। কিন্তু তাঁর আগেই ওই পাঁচটি বসতবাড়ি পুড়ে যায়। এতে করে পাঁচটি পরিবারের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমাদের বাঁশের বেড়া ও টিনের চালার ঘর। সন্ধ্যা ৭টার দিকে হঠাৎ করে রান্নাঘরের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন তাঁর বাড়ির চারটি কক্ষে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে বাসায় থাকা তাঁর নগদ দেড় লাখ টাকা, ধান, চাল ও আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে আমার প্রায় আট লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আরও চারটি প্রতিবেশীর বাড়িও পুড়ে গেছে। তাঁদের বাড়িও বাঁশের বেড়া ও টিনের চালার। তাঁদেরও মূল্যবান আসবাবসহ অনেক মালামাল পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবেশী বিপ্লব হোসেন বলেন,`আনিসুরের বাড়িতে আগুন লাগলে সে আগুন আমাদের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। এর পর আমাদের প্রতিবেশী বিদ্যুৎ হোসেন, জেহের আলী ও মকবুল হোসেনের বাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে যায়। আমাদের এবং তিন জন প্রতিবেশীর ঘরে থাকা ধান, চালসহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এতে ১২ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি।
মান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাসেম দেওয়ান বলেন, রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। কীভাবে সিলিন্ডারটির বিস্ফোরণ ঘটল এবং অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, তা নির্ধারণে তদন্ত চলছে। তবে পাঁচটি পরিবার দাবি করেছে তাদের ২০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এমদাদুল হক মোল্লা। এ সময় তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও পরিবারগুলোর প্রত্যেক সদস্যকে পরনের কাপড় বিতরণ করা হয়েছে। পরে ক্ষতিগ্রস্তদের উপজেলা পরিষদের ফান্ড থেকে আরও সহায়তা করা হবে।