বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের উদ্বোধন

  •    
  • ৯ জুন, ২০২১ ২৩:১৬

মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় তিন তলা বিশিষ্ট ভবনের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় দুই কোটি ১৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এক বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের নিজস্ব ভবনের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বুধবার বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজের উদ্বোধন করেন ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, বীরপ্রতীক আব্দুল হাই সরকার, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মির্জা নাসির উদ্দিন, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি অ্যাড.আহসান হাবীব নীলু,উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা পিপি অ্যাড. এসএম আব্রাহাম লিংকনসহ আরও অনেকে ।

মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় তিন তলা বিশিষ্ট ভবনের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় দুই কোটি ১৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এক বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

২০ শতক জমির ওপর ৭ হাজার ৩৩২ বর্গফুটের এই ভবনে থাকবে পানির ফোয়ারা, লাইব্রেরি কাম ক্যাফেটেরিয়া, সেমিনার হল, ওপেন থিয়েটার, প্রতিবন্ধীদের দর্শনের জন্য র‌্যাম্প, গোলাকার দৃষ্টিনন্দন আর্চ।

কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার নতুন শহরের নাজিরা ব্যাপারি পাড়ায় নিজ বাড়িতে জাদুঘরটি ২০১২ সালের ১২ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা করেন আইনজীবী এসএম আব্রাহাম লিংকন। তার দোতলা বাসভবনের বসার ঘর, খাবারের ঘর, সেরেস্তা ঘর এমনকি শোবার ঘরেও সাজিয়ে রাখা হয়েছে স্থানীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মারকের দুই হাজারের বেশি প্রামাণ্য দলিল ও নানা উপকরণ।

এ ছাড়া রয়েছে বৃহত্তর রংপুর জেলার পাঁচ হাজার ৮৬৫ জন রাজাকারের তালিকা। তাদের ক্ষমা প্রার্থনার দলিল, শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকা, রৌমারী রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত কিছু ডামি রাইফেল, ভূরুঙ্গামারী রনাঙ্গণে পাকিস্তানি বাহিনীর ছোড়া বিস্ফোরিত মর্টার শেল, গ্রেনেডসহ গোলার বাক্স এবং নানা দলিলপত্র।

জাদুঘরটি দেখতে পদস্থ কর্মকর্তাসহ দেশ ও বিদেশের অনেক গুণী ব্যক্তি এসেছেন বিভিন্ন সময়ে। দীর্ঘ ৯ বছর পর জাদুঘরটি নিজস্ব ঠিকানায় যাচ্ছে। জমিটি দান করেছেন প্রতিষ্ঠাতা নিজেই। এর নকশা করেছেন ঢাকার ‘নকশাবিদ’ নামে একটি ফার্মের পক্ষে প্রকৌশলী বায়েজীদ মাহবুব খন্দকার।

এ বিভাগের আরো খবর