নারায়ণগঞ্জের বন্দরে দুই কিশোরী ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আরেক আসামি পলাতক।
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাওসার আলমের আদালত বুধবার বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামির মধ্যে সিফাত হোসেন ও সিফাত আদালতে স্বীকাররোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শুনানি শেষে চার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকার সিফাত হোসেন, কুশিয়ারা এলাকার সিফাত, বন্দর ইসলামবাগ এলাকার সাকিব হোসেন ও নাঈম মিয়া। মামলার আরেক আসামি শাকিল পলাতক।
মামলার বরাতে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিপক সাহা নিউজবাংলাকে জানান, ওই দুই কিশোরী সম্পর্কে বান্ধবী। তাদের একজন বন্দর ও অন্যজন নগরীর বাসিন্দা। সাত থেকে আট দিন আগে তাদের বন্দর নবীগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় সিফাত হোসেন ও সিফাতের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেখান থেকে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোন নম্বর আদান-প্রদান হয়।
গত ৮ জুন বিকেলে একটি মাজারে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ওই দুই কিশোরীকে নবীগঞ্জ ঘাটে আসতে বলেন তারা। পরে ইসলামবাগ এলাকায় ওই দুই যুবক তাদের আরেক বন্ধু সাকিবের বাড়িতে ঝালমুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে কিশোরীদের নিয়ে যান। সেখানে আরও তিন যুবক উপস্থিত ছিলেন।
পরে ওই বাড়ির দুটি কক্ষে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন সিফাত হোসেন ও সিফাত। এ সময় বাকিরা দরজার বাইরে থেকে পাহারা দেন। পরে কিশোরীরা কান্নাকাটি করলে তাদের ভয় দেখিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ওসি আরও জানান, বুধবার সকালে বন্দর থানায় এক কিশোরী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। সেই মামলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে শাকিল নামে এক আসামি পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।