প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার পাঁচ দিন পরও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ অবস্থায় মামলা তুলে নিতে আসামিপক্ষ চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ফরিদপুরের মধুখালীর। ধর্ষণের অভিযোগ এনে শুক্রবার মামলা করেন ওই কিশোরীর বাবা। তার অভিযোগ, আসামির পরিবার প্রভাবশালী। তারা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, ওই যুবকের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে যুবককে বিয়ের জন্য চাপ দেয়া হয়। এ ব্যাপারে জানানো হয় তার পরিবারকেও। তবে কেউ সাড়া দেয়নি। পরে মামলা করেন কিশোরীর বাবা।
কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েটার জীবন শেষ করে দেয়া হয়েছে। আমরা গরিব বলে কোনো বিচার পাব না? আমার মেয়ে এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না। ওই যুবকের পরিবার বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে আমাদের।’
অভিযোগ আনা কিশোরী বলে, ‘বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলা হয়। একপর্যায়ে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। তখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সে। আমি তার বাড়িতে উঠলে মারধর করে বের করে দেয়। আমি বিচার চাই।’
মামলার পর থেকেই অভিযুক্ত যুবক পলাতক। তার পরিবারের কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই কিশোরীর বাবা মামলা করেছেন। অভিযুক্তকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।
ওই কিশোরীর সঙ্গে দেখা করে তাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে মহিলা পরিষদ মধুখালীর সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য সুরাইয়া সালাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ আক্তার মিনাসহ আরও অনেকে।
সুরাইয়া সালাম বলেন, ‘ওই কিশোরীকে আইনিসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ওসির সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি দ্রুত আসামিকে গ্রেপ্তার করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’