যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আশঙ্কাজনক হারে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় যশোর ও নওয়াপাড়া পৌরসভায় বুধবার রাত থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, মঙ্গলবার শনাক্তের হার ৪২ শতাংশ। সোমবার ছিল ২৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় ২৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
যশোর জেলায় মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে করোনা শনাক্তের হার বাড়তে শুরু করে। জুনের শুরুতেই করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে।
এ পর্যন্ত জেলায় সাত হাজার ৯৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মারা গেছেন ৮৩ জন। যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৭জন।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, ‘যশোর পৌর এলাকা ও অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌর এলাকায় সংক্রমণের হার প্রতিদিন বাড়ছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে যশোর ও নওয়াপাড়া পৌরসভায় কঠোন বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শিগগিরই এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে। বুধবার রাত থেকেই করোনা কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।’তিনি জানান, সভায় সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বাজারে স্বাস্থ্যবিধি আরোপে জোর দেয়া হয়েছে। গণসমাবেশ ও অনুষ্ঠান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ, মোটরসাইকেল ও রিকশায় একজন এবং অটোরিকশায় দুইজনের বেশি চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে গণপরিবহন এবং দোকানপাট শপিংমলের বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট সায়েমুজ্জামান।
যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, যশোরের পৌর মেয়র হায়দার গণী খান পলাশ, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন।