নওগাঁর মান্দায় জমি রেজিস্ট্রিতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিকের ওপর দলিল লেখকদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রসাদপুর সাবরেজিস্ট্রার অফিসের ভেতরে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত সাংবাদিক আব্বাস আলী একটি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজপোর্টালের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি।
আব্বাসের বড় ভাই আসাদ আলী জানান, প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা আব্বাসকে পিটিয়ে আহত করেন। তিনি মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় লোকজন জানান, মান্দার ভারশোঁ গ্রামের আসাদ আলী জমি রেজিস্ট্রি করতে প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতিতে যান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রেজিস্ট্রি খরচ নিয়ে আসাদের ছোট ভাই আব্বাসের সঙ্গে দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তারের কথা-কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে বাবুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন রানার নেতৃত্বে ১০-১২ জন আব্বাসকে কিলঘুষি মারেন। সেখানকার কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আসাদ আলী বলেন, ‘জমি রেজিস্ট্রি করতে অতিরিক্ত ফি চাওয়ার প্রতিবাদ করায় আমার সামনে দলিল লেখক সমিতির ১০-১২ জন আব্বাসকে মারপিট করেন। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও চড়-থাপ্পড় মারেন তারা।’
প্রত্যক্ষদর্শী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমিও জমি রেজিস্ট্রি করতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ ১০-১২ জন মিলে আব্বাসকে মারপিট করতে দেখি। পরে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আঘাত পাই।’
আব্বাস বলেন, ‘বাবুলের কাছে দলিল রেজিস্ট্রির সরকারি খরচ জানতে চাইলে তিনি আমাকে সমিতিতে ভর্তি হয়ে ক্লাস করতে বলেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা হামলা চালান। হামলাকারীদের নামে থানায় মামলা করব।’
মান্দা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় তিনি অফিসে ছিলেন না। পরে উভয় পক্ষকে নিয়ে তিনি সমঝোতার চেষ্টা করেন। তবে তারা কেউ আলোচনায় বসতে রাজি হননি।
ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানান সাবরেজিস্ট্রার সিরাজুল।
এ বিষয়ে বাবুল বলেন, ‘ভুল-বোঝাবুঝির কারণে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ওই ঘটনা হয়েছে। কোনো প্রকার মারপিটের ঘটনা ঘটেনি, তবে একটু হাতাহাতি হয়েছে। জমি রেজিস্ট্রি করতে বাড়তি টাকা নেয়া হয় না। খুশি হয়ে জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা যা দেয় সেটাই নেয়া হয়।’
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, মৌখিকভাবে জানার পর পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।