কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ‘বরখাস্ত’ চেয়ারম্যানকে পুনর্বহাল দাবিতে ইউপি কার্যালয়ে তালা দিয়েছেন তার অনুসারীরা।
রোববার রাত আটটার দিকে ২০/৩০ জন নারী-পুরুষের একটি দল ইউপি কার্যালয়ের প্রতিটি কক্ষে তালা লাগিয়ে বারান্দায় অবস্থান নেন বলে জানিয়েছেন প্যানেল চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আনিছ।
এর আগে বিকেলে চেয়ারম্যানের অনুসারী শতাধিক নারী-পুরুষের একটি দল ঝাড়ু ও লাঠি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবন ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেন। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর আলম ও পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেন।
এরপরই তাদের একটি অংশ ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে তালা দেন। এ কারণে সোমবার ইউপিরি সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
গণ-উপদ্রব সৃষ্টি ও ফৌজদারি অপরাধে কারাগারে থাকায় চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ভূরুঙ্গামারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান রোজেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পরে তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।
সাময়িক বরখাস্তের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে চেয়ারম্যান হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। গত ৪ মে হাইকোর্ট বরখাস্তের আদেশটি ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে।
এ বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বলেন, কয়েকজন ব্যক্তি প্রতিটি কক্ষে তালা দিয়ে অবস্থান নেয়ায় ইউপির স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, বরখাস্ত চেয়াম্যানের নির্দেশে ৩ জুন কিছু ব্যক্তি ইউপি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে উদ্যোক্তা ও সচিবকে রুম থেকে বের করে দিয়ে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার নিয়ে যান। ইউএনওকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। থানায় মামলা করতে গেলে রহস্যজনক কারণে এখনও তা নেয়া হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ইউএনও দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, ‘উক্ত চেয়ারম্যানকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাময়িক বরখাস্ত করেছে। তাকে পুর্নবহাল করবে ওই মন্ত্রণালয়। আমি এখনও পুর্নবহালের কোনো চিঠি পাইনি।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘প্যানেল চেয়ারম্যান এখনও কোনো এজাহার দাখিল করেন নাই। এজাহার দাখিল করলে মামলা নেয়া হবে।’
এই বিষয়ে বরখাস্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।