ঢাকার সাভারে বাড়ির মালিকের ছেলে রাজাকে অপহরণের পর হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন আসামি আরিফুল ইসলাম।
সোমবার বিকেলে ঢাকার মুখ্য বিচারক আদালতের হাকিম রাজীবুল হাসান আসামির জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে রোববার ভোরে পাবনা জেলার সুজানগর সদর থানার তারাবাড়ি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আসামি আরিফুলকে গ্রেপ্তার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের দুই মাস পর মামলার প্রধান আসামি আরিফুলকে গ্রেপ্তারের পর এক দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে নেয় পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন বলেন, ‘ঘটনার দিনই হত্যায় জড়িত অভিযোগে আরিফুলের কথিত স্ত্রীকে আটক করা হয়। তখন থেকেই পলাতক ছিলেন আরিফুল। তিনি ওই তরুণীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন। এরপর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যান তিনি। গত দুই মাস ধরে তিনি দ্রুত স্থান পরিবর্তন করছিলেন।’
এসআই আল আমিন বলেন, ‘সবশেষ প্রযুক্তির সহায়তায় পাবনার গ্রামের বাড়িতে আরিফুলের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। রোববার ভোরে অভিযান চালিতে তাকে গ্রেপ্তার করি। আজ (সোমবার) আদালতে শিশু রাজাকে অপহরণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন আসামি।’
গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যার পর আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার কালাম মাদবরের নয় বছরের ছেলে রাজা মিয়া নিখোঁজ হয়। পরে তার বাবার ফোনে অপহরণকারীরা ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এ ঘটনার পর রাতেই কালামের বাড়ির ভাড়াটিয়া আরিফুলের ফ্ল্যাট থেকে রাজার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।