বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিজ ঘরে উঠলেন ৪০ জন ট্রান্সজেন্ডার

  •    
  • ৭ জুন, ২০২১ ১৯:৩৩

শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তায় ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় আমরা এই কাজটি শেষ করতে পেরে আনন্দিত। আমরা চাই এই মানুষগুলো আমাদের সঙ্গে বাস করে জনশক্তিতে রূপান্তরিত হোক।’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তায় শেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শেরপুরে বসবাসকারী ট্রান্সজেন্ডাররা পেলেন সরকারি ঘর।

সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব নিবন্ধিত ৪০ জন ট্রান্সজেন্ডারের হাতে তাদের ঘরের চাবি তুলে দেন।শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়া সুতিরপাড় এলাকায় ২ একর সরকারি খাসজমিতে নির্মিত হয়েছে একটি গুচ্ছগ্রাম। এখানেই ওই ৪০ জন সরকারি ঘর পেলেন।শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন জানান, দুই একর জায়গায় ৬৯ লাখ ৪ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারী ট্রান্সজেন্ডারদের আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য থাকছে প্রায় ৪০ শতক জমির ওপর একটি পুকুর, শাকসবজি, ফসল আবাদের জন্য রাখা হয়েছে খোলা জায়গা, আত্মকর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত হচ্ছে একটি মাল্টিপারপাস কক্ষ।

গুচ্ছগ্রামের সঙ্গেই রয়েছে ৮ একরের বড় একটি সরকারি খাস বিল। গুচ্ছগ্রামে নির্মিত প্রতিটি ঘরের সঙ্গেই রয়েছে রান্নাঘর ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা। এদিকে জেলা প্রশাসকের পক্ষ হতে এখানকার ট্রান্সজেন্ডারদের ব্যবহারের জন্য হাঁড়ি-পাতিল, থাকার জন্য ২০টি বিছানা ও বিছানার চাদর দেয়া হয়।শেরপুর জেলা হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি নিশি সরকার গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করায় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা এত দিন কোথাও আশ্রয় পাইনি। এখন আমাদের মাথা গোঁজার ঠাই হয়েছে। এ জন্য আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘গুচ্ছগ্রামের মাধ্যমে আমাদের বাসস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এখন আমাদের কর্মসংস্থানের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা ভিক্ষা করতে চাই না, চাঁদাবাজি করে জীবন চালাতে চাই না। আমরা মানুষের মতো বাঁচতে চাই। কাজ করে খেতে চাই। আমরা কখনো কারও মনে কষ্ট দিব না আর আপনারাও আমাদেরকে কষ্ট দিয়েন না।’

শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তায় ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় আমরা এই কাজটি শেষ করতে পেরে আনন্দিত। আমরা চাই তৃতীয় লিঙ্গের এই মানুষগুলো আমাদের সঙ্গে বাস করে জনশক্তিতে রূপান্তরিত হোক।’শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন,‘আমাদের সংবিধানে যে মৌলিক অধিকারগুলোর কথা উল্লেখ আছে তার মধ্যে বাসস্থান অন্যতম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিন্তু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করতে বলেছেন। তিনি এই বিষয়ে আন্তরিক থেকে আমাদের কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই তাদের বাসস্থানের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির চেষ্টাও আমরা করছি। আশা করি তাদের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে পারব।’

এ বিভাগের আরো খবর