অপহরণের মামলার পর নারায়ণগঞ্জ থেকে বরগুনার এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিশোরীর পরিবারের দাবি, রুবেল নামের এক টিকটকার প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যান।
নারায়গঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার পাইনাদি নতুন মহল্লার ভাড়া বাসা থেকে সোমবার সকালে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় টিকটকার রুবেল ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কিশোরীর বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়। সে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ জানায়, অপহরণের অভিযোগে গত ৩০ মে কিশোরীর ফুপু বরগুনা থানায় মামলাটি করেন।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, তার ভাইয়ের ১৫ বছরের মেয়ের সঙ্গে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপস টিকটকের মাধ্যমে রুবেল নামে ওই যুবকের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে তার ভাই রুবেলের মোবাইল ফোনে কল করে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করেন।
মামলায় আরও বলা হয়, ৩০ মে বিকেল ৪টার দিকে তার ভাইয়ের মেয়ে স্থানীয় একটি বিউটি পারলারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে স্থানীয় দুইজনের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন, রুবেল ও তার সহযোগী পাঁচ-ছয়জন সাদা একটি মাইক্রোবাসে করে তাকে তুলে নিয়ে গেছেন।
বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রুবেলের অবস্থান শনাক্ত করে। সোমবার সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি নতুন মহল্লায় রুবেলের ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালায় বরগুনা থানা-পুলিশ। সেখান থেকে কিশোরীকে উদ্ধার এবং রুবেল ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই কিশোরী ও আসামিদের বরগুনায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, রুবেলের স্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত যতটুকু জানা গেছে, তার বাড়ি ভোলার কোনো এলাকায়।
তিনি জানান, রুবেল এর আগে মালদ্বীপ থাকতেন। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। নারায়ণগঞ্জের ওই বাসায় বাবার সঙ্গে ভাড়া থাকতেন তিনি।