বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন: সাবেক এমপি

  •    
  • ৭ জুন, ২০২১ ১৮:০৩

সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা বলেন, তার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দেয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বলছেন, টাঙ্গাইলকে আবারও অস্থিতিশীল করার পাঁঁয়তারা করছেন রানা।

রিভলবার ঠেকিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দেয়ার যে অভিযোগ উঠেছে সংবাদ সম্মেলনে এসে তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা।

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সাবেক এমপি দাবি করেন, তপন রবিদাস নামের এক ব্যক্তির ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তবে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহার আহমেদ বলেছেন, ‘সাবেক এমপি আমানুর টাঙ্গাইলকে অস্থিতিশীল করার পায়ঁতারা করছেন। কয়েকদিন আগে একজনের পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে তিনি হত্যার হুমকি দেন। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আমানুর বলেন, ‘গত ১ জুন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ সম্মেলন করেন তপন রবিদাস। তার অভিযোগ, আমি নাকি তাকে রিভলবার ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছি। এমনকি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেছি।

‘অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তপন রবিদাস নামের কোনো ছেলেকে আমি চিনি না। কখনও দেখিও নাই। এটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো নাটক, যার কুশীলবরা পর্দার আড়ালে রয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলায় দীর্ঘ ৩৪ মাস ২১ দিন কারাবন্দি ছিলাম। সব ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে ২০১৯ সালের ৯ জুলাই জামিনে মুক্ত হই। তখন থেকে আমার বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্রের নীল নকশা তৈরি করতে থাকে আওয়ামী লীগের হাইব্রিডরা।

‘আমি জেল থেকে বের হওয়ার পর গোপন বৈঠকে মিলিত হয় তারা। কৌশলে আরেকটি অপকর্ম করে জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে আমাকে নতুন করে ফাঁসানোর ফন্দি করা হয়। বিষয়টি জানার পর প্রশাসন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডকে অবগত করি। তারপরও হাইব্রিডরা থেমে নেই। তপন রবিদাসের সংবাদ সম্মেলন কুচক্রীমহলের ষড়যন্ত্রের অংশ।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোতালেব হোসেন, আনেহলা ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার মো. শাহজাহান, দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাইন উদ্দিন তালুকদার, লোকেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শরিফ হোসেনসহ অনেকে।

সাবেক এমপি আমানুরের সংবাদ সম্মেলনের পরপরই পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ডাকেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহার আহমেদ ।

তিনি বলেন, ‘সাবেক এমপি আমানুর সংবাদ সম্মেলেন করে টাঙ্গাইলকে অস্থিতিশীল করার পায়ঁতারা করছেন। কয়েকদিন আগে তপন রবিদাসকে পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে তিনি হত্যার হুমকি দেন। তাকে টাঙ্গাইল শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেন। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’এসময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব বড় মনি, কাউন্সিলর হাজি মোর্শেদ, আমিনুর রহমান খানসহ অনেকে।

আমানুর রহমান খান রানা ঘাটাইল আসনের পরপর দুইবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ২০১২ সালের নবম উপনির্বাচনে এবং ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এমপি রানার নাম উঠে আসে। তিনি অনেকদিন পলাতক থেকে ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ৩৪ মাস ২১ দিন কারাবন্দি থেকে ২০১৯ সালের ৯ জুলাই আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।

আমানুর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের এক পর্যায় ২০১৫ সালের জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তার পদ বাতিল হয়ে যায় বলে দলীয় সূত্র জানায়।

এ বিভাগের আরো খবর