রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফ্যান খুলে পড়ে এক রোগী আহত হয়েছেন।
হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আহত সন্তোষ দাসের এক হাতের কিছুটা অংশ কেটে গেছে। আঘাত পেয়েছেন তার বোন নিমমনি দাসও। তিনি সন্তোষের বেডের পাশে শুয়ে ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর হাসপাতালেই তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সন্তোষের স্বজনেরা জানান, ‘এসি থাকলেও এই ওয়ার্ডে চলে না। তাই বৈদ্যুতিক ফ্যান চালাতে হয়। কিছু ফ্যান চলে, কিছু চলে না। সোমবার ভোরে চলতে চলতে একটি বৈদ্যুতিক ফ্যান হঠাৎ খুলে পড়ে। পরে দুপুর ১২টার দিকে সেখানে আরেকটি ফ্যান লাগানো হয়।’
সন্তোষ দাসের ছেলে কাঞ্চন কুমার জানান, ‘ফ্যানটা কয়েক দিন ধরেই নড়বড় করছিল। এটা আমরা ওয়ার্ডের চিকিৎসক মামুন স্যার ও নার্সদের বলেছিলাম। কিন্তু তারা এটা ঠিক করেননি। ভোররাতে হঠাৎ করেই পড়ে যায়। তবে, ভাগ্য ভালো বেশি কিছু হয়নি।’
ওই ওয়ার্ডে গেলে রোগীরা আরও অনেক অভিযোগ করেন। কয়েকজন বলেন, ‘ওয়ার্ডটি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। বলে বলে পরিষ্কার করাতে হয়। টয়লেটের ছিটকানি নাই। ব্যবহার উপযোগী না হলেও রোগী ও স্বজনরা বাধ্য হয়ে ব্যবহার করছেন।
হাসপাতালের পরিচালক শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘ওয়ার্ডে তো এসি আছে। ফ্যান তো চালানোর কথা না। আর আমাকে কেউ এ বিষয়ে ওয়ার্ড থেকে জানায়নি। হয়তো আমার কাছে বিষয়টি গোপন করেছে।’