কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।
নিহত মজিবুর রহমান মজুর বাড়ি বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের বাহেরনগর গ্রামে।
বাহেরনগর গ্রামে সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম একজন নিহতের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, দিলালপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া নোবেলের সঙ্গে একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজবাহ উদ্দিন সাফির মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জেরে সোমবার দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ঘটনাস্থলেই মজু নিহত হন। মজু সাফির পক্ষের লোক।
এ সময় ভাঙচুর করা হয় বেশ কিছু বাড়িঘর।
আহতদের মধ্যে পাঁচজন বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে চান মিয়া ও তারা মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান নোবেল জানান, তিনি এখন কিশোরগঞ্জ শহরে আছেন। সংঘর্ষের বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে রোববার মেম্বার মো. হালিমের সঙ্গে মিজবাহ উদ্দিন সাফির লোকজনের কথাকাটাকাটি হয়। তার ধারণা, এই ঘটনার জেরেই আবার সংঘর্ষ হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মজুর ভাতিজি তানিয়া আক্তার জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে রোববার সকালে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. হালিমের লোকজন তাদের বাড়িতে হামলার চেষ্টা চালায়। স্থানীয় লোকজন তাদের বাধা দিয়ে ফিরিয়ে দেয়।
এরপর সোমবার তারা আবার হামলা চালায়। এ সময় মসজিদে যাওয়ার সময় মজুকে কুপিয়ে হত্যা করে।