বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুকুরে নেমে দেখেন পাঙ্গাশ মরা

  •    
  • ৭ জুন, ২০২১ ১২:০২

‘মনে হয় রাত ৩টার দিকে বিষটা দিছে। সকালে যখন খাবার দিতাছি তখন মাছ নড়ে না। পরে লোক নামাইয়া দেহি যে, পানির নিচে সব মাছ মইরা পইড়া গেছে। প্রায় ৮০-৯০ মণ মাছ উঠাইছি।’

ঢাকার আশুলিয়ায় এক খামারির দুটি পুকুরের কয়েক হাজার পাঙ্গাশ মাছ মারা গেছে। খামারির অভিযোগ, দুর্বৃত্তদের দেয়া বিষে মাছগুলো মারা গেছে।

আশুলিয়ার মোজার মিল বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন পুকুর দুটি রাসেল খানের।

তিনি বলেন, ‘মনে হয় রাত ৩টার দিকে বিষটা দিছে। সকালে যখন খাবার দিতাছি তখন মাছ নড়ে না। পরে লোক নামাইয়া দেহি যে, পানির নিচে সব মাছ মইরা পইড়া গেছে। প্রায় ৮০-৯০ মণ মাছ উঠাইছি।’

রাসেল জানান, বছর খানেক তার এই খামারেই প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। এবার দুটি পুকুরের ৮ থেকে ৯ লাখ টাকার মাছ একইভাবে মেরে ফেলা হয়েছে।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘একটার মইদ্দে ১২ হাজার আর আরেকটার মইদ্দে ৬ হাজার পাঙ্গাশ আছিল... একেকটা পাঙ্গাশ এক-দেড় কেজি ওজন হইছিল। এখন বাজারে নিম্নে ৮০ টাকা কেজি পাঙ্গাশ বিক্রি হয়। সেই হিসাবে আমার ৮-১০ লাখ টাকার ক্ষতি হইছে।’

কারা বিষ দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মাছ চাষ করি প্রায় আট বচ্ছর। আর ট্রেড লাইসেন্স করছি তিন বছর ধইরা। অহন অনেক শত্রু আছে না ভাই। প্রায় ৮-৯ মাস আগেও এই রকম ২০ লাখ টাকার মতন মাছ মাইরা ফালাইছিল।

‘আমি অল্প বয়সে এই রকম একটা ব্যবসা গোছাইছি। বাংলা মাছের (দেশি) খামার আছে আরও চাইরটা। এমনতে একটা গরুর খামারও আছে।’

রাসেল বলেন, ‘গেল বন্যায় এমনি আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হইছি। ইপিজেডের বিষাক্ত পানি ঢুইকা আমার এক পুকুরের প্রায় কোটি টাকার মাছ মইরা গেছিল। অনেক ঋণ হয়ে গেছি। আবার এই মাছগুলা মাইরা ফালাইলো। আরও ক্ষতি হয়ে গেল আমার।’

সাভার উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই ধরনের বিষয়গুলো ডিপার্টমেন্টালি আসলে আমাদের করার মতো তেমন কিছু থাকে না। কারণ বিষটা যে এখানে দিছে এটার কোনো সাক্ষী নাই। আবার পানি পরীক্ষা করে বিষ আইডেন্টিফাই করার মতো ব্যবস্থা আমাদের নাই। একমাত্র ময়মনসিংহে থাকতে পারে সেটাও সুনিশ্চিত না।

‘এখন প্রথম করণীয় হচ্ছে, উনি যদি কাউকে সন্দেহ করে যে সে বিষ দিয়েছে। তাহলে ওই খামারি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সুস্পষ্ট কারণ দেখাতে হবে। এ জন্য আমরা তাকে সহযোগিতা করব।’

ওই খামারিকে আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে বলেন, ‘করোনাকালীন খামারি বা কৃষককে প্রণোদনা কিংবা অনুদান দেয়া হবে এমন কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটা ফান্ড কৃষি খাতের জন্য দেয়া আছে। সে ক্ষেত্রে খামারি বা চাষিকে সার্টিফাই করে তারা লোন দেবে। যেহেতু তিনি ক্ষতিগ্রস্ত, তাই আমরা তাকে চাষি হিসেবে বা তরুণ সফল উদ্যোক্তা হিসেবে সার্টিফাই করে দেব।’

এ বিভাগের আরো খবর