করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নে রেডজোন ঘোষণা করা ২, ৫, ৬, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিশেষ লকডাউন আরও সাত দিন বাড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
দ্বিতীয় ধাপে লকডাউন চলবে ৭ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত।
উখিয়া উপজেলা প্রশাসন থেকে রোববার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
তাতে বলা হয়, গত এক মাসে উখিয়া উপজেলায় প্রায় চারশর বেশি মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে দুইশর বেশি রোগী পাওয়া গেছে রাজাপালং ইউনিয়নের ২, ৫, ৬, ৯ ওয়ার্ডে।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশেষ লকডাউনের মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়ানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, লকডাউন চলাকালে প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া যাবে না। বাজার বা কোথাও জনসমাগম করা যাবে না। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরে থাকতে হবে। এ সময় ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে।
এই বিধিনিষেধে কর্মহীন ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোতে উপজেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, কঠোর বিধিনিষেধেও উখিয়া-টেকনাফে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। লোকজন এখনও সতর্ক হচ্ছে না।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৬ জুন পর্যন্ত কক্সবাজারে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৬০৭ জন। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ১ হাজার ৩২৯ জন। উখিয়ায় আক্রান্ত ১ হাজার ৩২৮ জন। এদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরের। এ পর্যন্ত করোনায় রোহিঙ্গা মারা গেছে ১৭ জন।
কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ অনুপম বড়ুয়া জানান, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলায় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা থাকত তিন থেকে পাঁচজনের মধ্যে। এখন দৈনিক গড়ে ৮০ জনের বেশিও শনাক্ত হচ্ছে।