সিরাজগঞ্জের চার উপজেলায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লাপাড়ার আগদিঘল, বেলকুচির চর সমেশপুর, সলঙ্গার আঙ্গারু এবং শাহজাদপুরের চর আঙ্গারু ও বাতিয়া গ্রামে রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন উল্লাপাড়া উপজেলার আগদিঘল গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্র ফরিদুল ইসলাম, বেলকুচির চর সমেশপুর গ্রামের লাইলি বেগম, সলঙ্গার আঙ্গারু গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও শাহজাদপুর উপজেলার চর আঙ্গারু গ্রামের কৃষক জুয়েল রানা ও বাতিয়া গ্রামের কৃষক আলহাজ পন্ডিত।
উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল নিউজবাংলাকে জানান, ফরিদুল মাঠে ধান কাটা শেষে বাড়ি ফেরার সময় আগদিঘল গ্রামের কবরস্থানের কাছে পৌঁছালে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, বাড়ির উঠানে মেলে দেয়া ধান তোলার সময় বজ্রাঘাতে প্রাণ গেছে লাইলি বেগমের।
সলঙ্গা থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, দরিয়াল বিলে হাঁসদের খাওয়ানো শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রফিকুল ইসলাম। এ সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
কায়েমপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম জানান, চর আঙ্গারু গ্রামের আব্দুল্লাহ বাড়ির পাশে মাঠে ধান কাটছিলেন। এ সময় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নরিনা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক জানান, বিকেলে বাতিয়া গ্রামের আলহাজ পন্ডিত স্ত্রীসহ বাড়ির পাশের মাঠে ধান শুকানোর কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হলে তারা দুজন দৌড়ে বাড়ি ফেরার সময় আলহাজ পন্ডিত বজ্রপাতে মারা যান।