বগুড়ায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর থেকে অতি প্রয়োজনী দ্রব্য ছাড়া সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৫টার দিকে জেলা কমিটির এক সভায় জনসাধারণের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করা ও সতর্কতা অবলম্বনে বিশেষ এই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
রোববার থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে। এ আদেশ জারি করেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্কতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। করোনার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হলে এসব বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ জেলায় লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে বগুড়ায় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ও জনসাধারণের স্বাস্থ্যসুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে গণবিজ্ঞপ্তিতে ১১টি নির্দেশনা দেয়া হয়।
বগুড়া জেলা প্রশাসকের সই করা এই আদেশে বলা হয়—
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি) কোনভাবে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর খাবারের দোকান, হোটেল রেস্তরাঁসহ দোকানপাট/শপিংমল, কাঁচাবাজার, খুচরা ও পাইকারি বাজারসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অন্যান্য বাজার ও দোকানপাট যেখানে লোকসমাগম হয় তা বন্ধ রাখতে হবে।
খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ কেবল খাদ্য বিক্রি বা সরবরাহ করতে পারবে। কোনো অবস্থায় হোটেল রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া যাবে না।
সামাজিক অনুষ্ঠানসহ সব ধরনের গণজমায়েত বন্ধ, সব কমিনিউটি সেন্টার বন্ধ থাকবে, বন্ধ থাকবে বিনোদন কেন্দ্রগুলো।
রাস্তা/পাড়ার মোড়ে, চায়ের দোকান, ছোট পরিসরে রেস্তোরাঁসহ এ জাতীয় সব স্থান সাড়ে ৭টার পর বন্ধ রাখতে হবে।
কৃষি পণ্য/খাদ্য সামগ্রী পরিবহণ এ আদেশের আওতা বহির্ভূত থাকবে। সরকারের রাজস্ব আদায়ের সাথে সম্পৃক্ত সকল দপ্তর/ সংস্থাসমূহ জরুরি পরিষেবার আওতাভুক্ত হবে। সব ধরনের সরবরাহ ব্যবস্থাপনা সচল থাকবে।
এই বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও গণবিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করে দেয়া হয়।