পঞ্চগড়ে সিজারের সময় নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক বেসরকারি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে।
শহরের রওশন ক্লিনিক অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন শিশুটির স্বজন।
শিশুটির বাবা বিপুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, গত বুধবার তিনি তার স্ত্রী মেরিনা আকতারকে সিজারের জন্য এই ক্লিনিকে ভর্তি করেন। ওই রাতেই সন্তানের জন্ম দেন মেরিনা। জন্মের পর থেকে কিছুতেই শিশুটির কান্না থামছিল না।
শুক্রবার সকালে চিকিৎসক খালেদ তৌহিদ পুলক এসে পায়ে ব্যান্ডেজ করে দিলে শিশুটির কান্না থেমে যায়।
তার অভিযোগ, সিজারের সময় চিকিৎসক তার সন্তানের পা ভেঙে ফেলেছেন।
বিপুল বলেন, ‘আমি গরিব, অসহায় মানুষ। সরকারের দেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে থাকি। চুক্তিতে অটোরিকশা চালায়ে কয়টা টাকা কামাই। আমার পক্ষে সম্ভব না ভাঙা পায়ের চিকিৎসা করা।’
অভিযোগের বিষয়ে ক্লিনিকের পরিচালক আকতার হোসেন জানান, খালেদ তৌহিদ পুলক ও পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট মনসুর আলম ওই নারীর সিজার করেছেন।
জন্মের এক দিন পর শিশুটির পায়ের ক্ষতের বিষয়ে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার কোমরের নিচের অংশ ভেঙে গেছে। আগামী বৃহস্পতিবার অর্থোপেডিক তার চিকিৎসা শুরু করবেন। শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
সিজার করা সেই চিকিৎসক পুলক বলেন, ‘এটি একটি দুর্লভ ঘটনা। সিজারের সময় শিশুটি উল্টে ছিল। এ জন্যও পা ভেঙে যেতে পারে। আশঙ্কার কিছু নেই। যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’