থানার পুলিশ অপরাধী শনাক্ত করতে না পেরে ক্ষান্ত দেয়ার আড়াই বছর পর পুলিশেরই তদন্ত সংস্থা পিবিআই তদন্ত করে খুনের মামলার রহস্য উন্মোচনের দাবি করেছে।
পিবিআই বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আকরামুল হোসেন শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালের ১১ জুন রাতে কাহালু উপজেলার শিবগঞ্জে মো. শাহিন নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন সকালে তার মরদেহ উদ্ধারের পর এ ঘটনায় তার স্ত্রী নূর বানু অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এই মামলার দায়িত্ব দেয়া হয় কাহালু থানার পুলিশ পরিদর্শক আনিছুর রহমানকে। কিছুদিন পরে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে দায়িত্ব দেয়া হয় কাহালু থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মাহমুদ হাসানকে।
তদন্ত শেষে আড়াই বছর আগে কোনো হত্যাকারী পাওয়া যায়নি জানিয়ে মাহমুদ হাসান এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
এরপর আদালত পিবিআইয়ের উপর এই মামলার তদন্তভার দেয়। তদন্ত শুরু করেন পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, আকরামের দীর্ঘদিনের অনুসন্ধান শেষে গত ২ জুন কাহালু খামারপাড়া এলাকার রিপন সরদারকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের কাছে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী কাহালুর নাটাইপাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদ ওরফে তারা মিয়া, সোহরাব হোসেন ও আনিসুর রহমান পাপনকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ।
পিবিআইকে তারা জানান, ২০১৭ সালের ১১ জুন রাতে শাহিনসহ ওই পাঁচজন কাহালু উপজেলার মো. আকতার ওরফে বুলুর বাড়িতে চুরি করতে যান। ৯ বিঘা জমির লোভে বুলুকে বিপদে ফেলতে তার বাড়িতে শাহিনকে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলায় বুলুকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা ছিল রিপন ও তারা মিয়ার।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে জড়িতদের শনাক্ত করতে না পারার বিষয়ে মাহমুদ হাসান বলেন, ‘আমি তদন্ত করে ওই মামলায় কোনো ক্লু পাইনি। এটা আমার ব্যর্থতা। পিবিআই পেয়েছে এটা তাদের সফলতা। এর চেয়ে আমার বেশি কিছু বলার নেই।’
পিবিআইয়ের এসপি জানান, এই হত্যা মামলা তদন্ত করতে অনেক সময় লেগেছে। এটা পিবিআইয়ের বড় একটা অর্জন।