করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সাতক্ষীরা জেলায় শনিবার সকাল থেকে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু হয়েছে। ১১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এই লকডাউনের মেয়াদ থাকবে বলে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, লকডাউন চলাকালে সব ধরনের বিধিনিষেধ মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে। এ সময় শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল থাকবে। এ ছাড়া যশোর ও খুলনা জেলা থেকে সাতক্ষীরায় প্রবেশের মুখে বেশ কয়েকটি চেকপোস্টও বসানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, লকডাউনে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানি স্বাভাবিক থাকবে। তবে বন্দরের সব বাজারঘাট ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে। এ সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরি সভায় এই লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, লকডাউনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বেচাকেনার সুযোগ থাকবে। আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বাসসহ মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রাখা রয়েছে। রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক, মাহিন্দ্র, নসিমন, করিমন সবই বন্ধ রয়েছে। তবে লকডাউনের আওতায় নেই ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, ক্লিনিক ,অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসেবা-বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ জরুরি সেবার জন্য নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানসমূহ ও যানবাহন। এ সময় যারাই প্রয়োজনে বাইরে যাবেন, তাদের সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করার অনুরোধ জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলার সিভিল সার্জন হুসাইন শাফায়াত জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরায় ২৪৫ জনের মধ্যে ৩২ জন সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, ২০ জন জেলা সদর হাসপাতালে ও ১৯৩ জন হোম কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
ওই ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু ও সদর হাসপাতালে করোনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান সিভিল সার্জন।