চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এক গৃহবধূকে অপহরণ করে ১০ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার শালিকা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মানিক মিয়া। তার বাড়ি শালিকা গ্রামে। এর আগে রাত ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা থানায় মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর বাবা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর বাবার বাড়ি শালিকা গ্রামে। প্রায় দেড় বছর আগে পার্শ্ববর্তী মোচাইনগর গ্রামে তার বিয়ে গয়। গত ২২ মে বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ। বেলা ১১টার দিকে শালিকা গ্রামের বাজারে পৌঁছালে একই গ্রামের মানিক মিয়ার সঙ্গে তার দেখা হয়।
মানিক মোটরসাইকেল করে ওই গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দশমাইল গ্রামে নিয়ে যান। ওই গ্রামের মোহর আলীর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে আটকে রাখেন মানিক। সেখানে ১০ দিন আটকে রেখে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন তিনি।
গত ২ জুন বাড়ি নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে ওই গৃহবধূকে মোটরসাইকেলযোগে সদর উপজেলার ভালাইপুর বাজারে নিয়ে যান তিনি। সেসময় মোবাইল রিচার্জ করে আসছি বলে সেখান থেকে পালিয়ে যান মানিক। পরে বাড়ি ফিরে পরিবারকে অপহরণ এবং আটকে রেখে ধর্ষণের কথা জানান গৃহবধূ।
শুক্রবার রাতে আলমডাঙ্গা থানায় হয়ে অপহরণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর বাবা। পরে অভিযান চালিয়ে নিজ গ্রাম থেকে মানিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, মামলার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে হস্তান্তর করা হবে।