চার জেলায় বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জামালপুরেই মৃত্যু হয়েছে চারজনের।
জামালপুরের মৃতদের মধ্যে তিনজন বকশিগঞ্জের এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে দেওয়ানগঞ্জে।
বকশিগঞ্জের উজান কলকিহারা ও পূর্ব কলকিহারা গ্রামে শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম ও মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জিহাদ নিউজবাংলাকে বলেন, বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে পাটক্ষেত নিড়ানোর সময় বজ্রপাতে উজান কলকিহারা গ্রামের প্রয়াত কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল খলিল মারা যান।
এ ছাড়া খড় নিয়ে ফেরার পথে বজ্রপাতে মারা গেছেন পূর্ব কলকিহারা গ্রামের মফিজুরের ছেলে হরবাদশাহ ও আব্দুল খালেকের স্ত্রী আকিজা বেগম।
একই সময়ে বজ্রাঘাতে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে দেওয়ানগঞ্জে।
দেওয়ানগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ মোহাব্বত কবির জানান, চিকাজানি থেকে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফিরছিলেন রানা মিয়া। আকন্দপাড়া এলাকায় বজ্রপাতে মারা যান তিনি।
১৮ বছর বয়সী রানা রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। তার বাড়ি সদর ইউনিয়নের গামারিয়া গ্রামে।
আম কুড়ানোর সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরপুরে দুজন ও চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে মারা গেছেন একজন। শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সুন্দরপুর ইউনিয়নের পাঁচরশিয়া গ্রামের ২৫ বছর বয়সী এনি খাতুন ও তার ৬ বছর বয়সী ছেলে নূর মোহাম্মদ। আর চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের টিকলিচর গ্রামের আব্দুল মতিনের ১০ বছর বয়সী ছেলে ইয়াসির আরাফাত।
সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মওদুদ আলম খাঁ জানান, বিকেলে হঠাৎ করে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় সুন্দরপুরের পাঁচরশিয়া গ্রামের এনি খাতুন তার ৬ বছর বয়সী ছেলে নূর মোহাম্মদকে নিয়ে আম কুড়াতে যান। তখন বজ্রাঘাতে তাদের মৃত্যু হয়। একই সময়ে আম কুড়াতে গিয়ে মৃত্যু হয় চরবাগডাঙ্গার চিকলিচর গ্রামের ১০ বছর বয়সী ইয়াসির আরাফাতের।
মৃতদের পরিবারকে উপজেলা পরিষদ থেকে সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়ন ও বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নে শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের পাড়মোড়দহ গ্রামের বাসিন্দা সেলিম রেজা ও বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের হাওড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলিম।
বাঙ্গালা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজুল ইসলাম লিটন নিউজবাংলাকে জানান, ধান কেটে অটোভ্যানে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় সেলিমের।
বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির লিটন জানান, হাওড়া থেকে অটোভ্যানে যাত্রী নিয়ে মোহনপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন আলিম। পথে চারা বটতালা এলাকায় বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হন ছয় যাত্রী।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ জানান, বজ্রপাতে দুই শ্রমিকের নিহতের ঘটনা শুনেছি। উপজেলা প্রশাসনের থেকে বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তিদের জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা দেয়া হবে।