সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চোরচক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৯ হবিগঞ্জ ক্যাম্পে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মেজর সৌরভ মো. অসীম শাতিল।
তিনি জানান, গত ২১ এপ্রিল অটোরিকশা চোরচক্রের প্রধান আবু তালেবকে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর ৩ জুন মাধবপুর থেকে চক্রের অন্যতম সদস্য শমসু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার করে র্যাব।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় গ্রেপ্তার মো. মহিউদ্দিন ও মো. কামরুল মিয়া চোর চক্রের সমন্বয়কারী। চুরি ছিনতাইয়ে মূল পরিকল্পনা করতেন মহিউদ্দিন।
তিনি নতুন অটোরিকশার (বিশেষ করে যে সব অটোরিকশার এখনও নম্বর প্লেট লাগানো হয়নি) বাছাই করে গ্যারেজ চিহ্নিত করতেন। এরপর তিনি মানিক মিয়াকে সেই তথ্য দিতেন। মানিক কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করে তারপরে চুরির দিন ঠিক করতেন।
চুরি কাজে মানিক সহযোগী হিসাবে রাখতেন হৃদয় মিয়া নামে একজনকে। হৃদয় চাবি ছাড়া যে কোনো যানবাহনের ইঞ্জিন চালু করতে পারদর্শী। এভাবেই ধাপে ধাপে তারা চুরি করত। চুরি করার এক সপ্তাহের মধ্যেই বিক্রিত অর্থ সবার মধ্যে ভাগ হয়ে যেত।
মেজর সৌরভ মো. অসীম শাতিল বলেন, ‘অসামিরা পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের একটি অটোরিকশা এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে থাকে। এক্ষেত্রে বিক্রয়মূল্যের দুই-তৃতীয়াংশ মহিউদ্দিন ও কামরুল নেয় এবং বাকি টাকা চুরি ছিনতাই গ্রুপের অন্য সদস্যদের দেয়া হতো।’