চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরা করোনা রোগীর সংস্পর্শে সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান রোডের এলাহি জামে মসজিদ থেকে জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ১৪ দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
শ্রীমঙ্গলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট নেছার উদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, বুধবার রাত দেড়টার দিকে এলাকাটি লকডাউন এর আওতায় আনা হয়। সিন্দুরখান রোডের একটি অংশ লকডাউন করা হয়েছে। ওই এলাকায় কোন ভাবেই জনসমাগম করা যাবে না। দোকান পাটসহ সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে প্রধান সড়ক খোলা থাকবে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আরও কঠোর লকডাউন করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান এলাকায় একটি কলোনিতে ২৮ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা ৩৪ জনের করোনা পরীক্ষা করালে ১২ জনের করোনা পজিটিভ আসে। পরে তাদের সংস্পর্শে আসা আরও ৬ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। ওই এলাকায় ১৮ জন করোনা পজিটিভ রয়েছেন।
‘এদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা হোম আইসোলেশনে আছেন। এদের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে কিনা তা রিপোর্ট আসার পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।’
সিভিল সার্জন ডাক্তার চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ রুমি বলেন, ‘গত ১৮ ও ১৯ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ৬৯ জন প্লাস্টিক ফেরিওয়ালা ব্যবসায়ী মৌলভীবাজার এলাকায় আসেন। স্বাস্থ্য বিভাগ ও পৌরসভা পাঁচটি কলোনি শনাক্ত করে তাদেরকে লকডাউনের আওতায় আনে।
‘৩১ মে সোমবার সবার করোনা টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে ১৭ জনই করোনা পজিটিভ। তারা সবাই মৌলভীবাজার সদরের বড়কাপন এলাকার বাসিন্দা। সবাইকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন রাখা হয়েছে।’