বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্যাতনের শিকার সেই রিকশাচালক মারা গেছেন

  •    
  • ৩ জুন, ২০২১ ২০:৫৯

পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, পিটিয়ে তারা ছকুর এক হাত ও এক পা ভেঙে দেন। তার একটি দাঁতও ভাঙা হয়। রাতভর নির্যাতনের পরদিনও ছকুকে নিজের বাড়িতে বন্দি করে রাখা হয়।

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে রাতভর নির্যাতন চালিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়া রিকশাচালক ছকু মিয়া ১৮ দিন পর মারা গেছেন।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলের বাসায় মৃত্যু হয় তার।

এর আগে গত ১৫ মে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পূর্ব দামোদরপুর গ্রামে রিকশাভ্যানচালক ছকুর ওপর নির্যাতন চালানো হয়।

ছকুর পরিবারের অভিযোগ, গ্রামের ছয় ভাই আলমগীর, আংগুর, রনজু, মনজু, সনজু ও মন্টু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দাদনের কারবার চালিয়ে আসছেন। গত ১৫ মে সন্ধ্যায় মন্টু মিয়ার মেয়ে প্রতিবেশী ছকুর ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে মন্টুসহ তার পাঁচ ভাই দল বেঁধে ছকুর বাড়িতে যান। তারা ছকুকে রাতভর পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন।

পরিবারের সদস্যরা আরও জানান, পিটিয়ে তারা ছকুর এক হাত ও এক পা ভেঙে দেন। তার একটি দাঁতও ভাঙা হয়। রাতভর নির্যাতনের পরদিনও ছকুকে নিজের বাড়িতে বন্দি করে রাখা হয়।

১৬ মে বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ ছকুকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

স্থানীয় লোকজন জানান, ছকুর বড় ভাই গত ২০ মে গাজীপুরের মৌচাক এলাকা থেকে ওই মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন। পরে এলাকাবাসী এক সালিস বৈঠকে ছকু ও তার ভাইদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

ছকুর পরিবার জানায়, সালিসের পরও হামলাকারীদের হুমকির মুখে ৩১ মে ছকু গ্রাম ছেড়ে আশ্রয় নেন গাজীপুরে ছেলে মোজাম্মেল হকের বাসায়। সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।

১৬ মে ঘটনার তথ্য সংগ্রহের সময় নিউজবাংলার গাইবান্ধা প্রতিনিধির ওপরও হামলা চালান দাদন কারবারি আলমগীর ও তার ভাই রনজু। পরে স্থানীয় লোকজনের তোপের মুখে তারা চলে যেতে বাধ্য হন।

সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, ‘মৃত্যুর খবর লোকমুখে শুনেছি। এ নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর