একই পরিবারের ছয়জনের করোনা সংক্রান্ত হওয়ায় এবং সংক্রমণ রোধে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বাওলী গ্রামে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী ছয়টি ইউনিয়নে চলাচলে বিধিনিষেধ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির বিশেষ সভায় বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানান জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান।
চলাচলে বিধিনিষেধ দেয়া ইউনিয়নগুলো হলো স্বরূপপুর, নেপা, কাজীরবেড়, শ্যামকুড়, বাঁবাড়িয়া ও যাদবপুর।
জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান জানান, সীমান্তবর্তী বাওলী গ্রামে একই পরিবারের ছয়জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গ্রামে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে আগামী বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত ওই গ্রামে লকডাউন চলবে।
তিনি আরও জানান, ছয়টি ইউনিয়নে আগামী ১৩ জুন পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ চলবে। সেখানে সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত মানুষ চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সময় ফার্মেসি ছাড়া সব দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি ও অন্যান্য সেবাদানকারী যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো যান উপজেলাগুলোতে প্রবেশ ও সেখান থেকে বের হবে না।
বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার বন্ধে এ সময় কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানানা জেলা প্রশাসক।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির বিশেষ সভায় উপস্থিত ছিলেন মহেশপুর বিজিবি-৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল আহসান, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, সিভিল সার্জন সেলিনা বেগমসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলার সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম জানান, ঝিনাইদহে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৯২৬। বুধবার ২৪ ঘণ্টায় ৪৬টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচজন। ২৪ ঘণ্টায় একজনসহ করোনায় মারা গেছেন মোট ৫৬ জন।