বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২৩ বার কর্মকর্তা বদলেও এগোয়নি গির্জায় বোমা হামলার তদন্ত

  •    
  • ৩ জুন, ২০২১ ১৩:০৩

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) রঞ্জিৎ কুমার বাড়ৈ জানান, সিআইডি এ ঘটনার পেছনে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে নিশ্চিত হয়। দুই মামলার আসামির তালিকায় ১ নম্বরে উঠে আসে সংগঠনটির নেতা মুফতি হান্নানের নাম। এরইমধ্যে অন্য একটি মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের একটি গির্জায় ২০০১ সালের ৩ জুন বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১০ জন। ২০ বছরে ২৩ বার এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল হয়েছে। তাতেও এগোয়নি তদন্তকাজ।

সেদিন সকাল ৭টার দিকে বানিয়ারচর ক্যাথলিক গির্জায় সাপ্তাহিক প্রাথর্না চলছিল। প্রার্থনা শুরুর কিছুক্ষণ পর গির্জার ভেতরে বোমা বিস্ফোরিত হলে মুহূর্তেই প্রাণ যায় ১০ জনের। আহত হন অর্ধশতাধিক।

নিহতরা হলেন রক্সিড জেত্রা, বিনোদ দাস, মন্মথ সিকাদার, সঞ্জীবন বাড়ৈ, পিটার সাহা, অমর বিশ্বাস, সতীশ বিশ্বাস, ঝিন্টু মন্ডল, মইকেল মল্লিক ও সুমন হালদার।

এ ঘটনায় মুকসুদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন গির্জার তৎকালীন ফাদার পিতাঞ্জা মিম্মো ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন পিটার বৈরাগী। আসামি করা ৩৭ জনকে।

দুটি মামলাই পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের কাছে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়।

গীর্জায় বোমা হামলায় নিহতদের সমাধী। ছবি: নিউজবাংলা

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) রঞ্জিৎ কুমার বাড়ৈ জানান, সিআইডি এ ঘটনার পেছনে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে নিশ্চিত হয়। দুই মামলার আসামির তালিকায় ১ নম্বরে উঠে আসে সংগঠনটির নেতা মুফতি হান্নানের নাম। এরইমধ্যে অন্য একটি মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।

বোমা বিস্ফোরণে নিহত সুমন হালদারের বাড়ি গির্জার পাশেই। তার বাবা সুখরঞ্জন হালদার বলেন, ‘সেদিন ছিল রোববার। আমার ছেলে সুমন প্রার্থনা করতে গিয়েছিল গির্জায়। হঠাৎ করে বিকট একটা শব্দ শুনি। দৌঁড়ে এসে দেখি আমার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এরপর থেকে ছেলে হত্যার বিচারের আশায় দিন গুনছি আমরা। কিন্তু ২০ বছর অপেক্ষার পরও এখন পর্যন্ত বিচার পেলাম না। ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারব কিনা তাও জানিনা।’

মামলা দুটির বিষয়ে সিআইডি কোনো কথা বলতে না চাইলেও গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পিপি রঞ্জিৎ কুমার বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে এ বোমা হামলা ও হত্যা মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। বিচার কাজতো দূরে থাকা আদালতে অভিযোগ গঠন করাও সম্ভব হয়নি সিআইডির পক্ষে। এমনকি এ পর্যন্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল হয়েছে ২৩ বার। এ সকল জঙ্গি সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও এখন পযর্ন্ত এ বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারীকেও সনাক্ত করতে পারেনি সিআইডি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত শেষ না হওয়ার ফলে দীর্ঘ দিনেও চার্জশিট দেয়া সম্ভব হয়নি। সিআইডি দ্রুত তদন্ত শেষ করে চার্জশিট জমা দিলে বিচার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর