জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নির্মাণাধীন হলের ছয়তলা থেকে পড়ে নিহত শ্রমিক শাহের আলীর পরিবারকে আট লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নুরানী কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। সেই সঙ্গে পরিবারের একজনকে ওই প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির পিতা মো. শমসের আলীর হাতে বুধবার চেকের মাধ্যমে এ অর্থ দেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার মো. গোলাম কবির।
প্রতিষ্ঠানটির ধানমন্ডি অফিসে দুই পক্ষের আপসনামায় উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলসংলগ্ন ২২ নং ছাত্র হলের নির্মাণকাজ চলা অবস্থার অসাবধানতাবশত ছয়তলা থেকে পড়ে আহত হন নির্মাণশ্রমিক শাহের আলী। পরে একটি প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আট লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজনকে ওই প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করা হয়।
আপসনামায় আরও বলা হয়, মীমাংসা-পরবর্তী সময়ে নিহত ব্যক্তির পরিবার এ ঘটনায় কোনো মানহানিকর বা ক্ষতিপূরণমূলক মামলা করবে না।
এ সময় আপসনামায় স্বাক্ষর করেন নিহত শ্রমিকের বাবা শমসের আলী ও মামা মনিরুল ইসলাম। আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মো. খোকন সরকার, আনিছুর রহমান ও চন্দন কুমার সাহা।
আপস বিষয়ে জানতে চাইলে শমসের আলী বলেন, 'আমার ছেলে তো আমাদের ছেড়ে চলেই গেছে। তারে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। কোম্পানির জাহাঙ্গীর ভাই আমাদের জন্য যা করেছে, আমরা তাতে সন্তুষ্ট। আমাদের আর কোনো দাবি-দাওয়া নেই।'
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার মো. গোলাম কবির বলেন, 'এ ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা আমরা কখনও আশা করি না। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আমাদের পক্ষ থেকে যে সহায়তা করেছি, তা কখনো জীবনের মূল্য হতে পারে না। তবে আমরা নিহত শাহের আলী পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকব।'